ঢাকা: এই তো মাত্র কদিন আগের কথা। মাঘ মাসে ঝলমলে রোদ, নীল আকাশ। মেঘ বিদায় নিয়ে গত বুধবার এল ফাল্গুন মাস। শুরু হলো ঋতুরাজ বসন্ত। কিন্তু বসন্ত আসতে না আসতেই আকাশের মুখ গোমড়া। আজ রোববার গোমড়া মুখ করা আকাশে মেঘের ঘনঘটা। সাতসকালে নেমে এল ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, সকাল ছয়টা থেকে আটটা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় ঢাকায় ২০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
বৃষ্টির রেশ আরও কদিন থাকতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে জানানো হয়, ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয়ার্ধে দেশের উত্তর ও উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে শিলা ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুই এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি হলেও দিন ও রাতের বেলা তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
আজ সকালে ঢাকা ছাড়াও টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, রাজশাহী, রংপুর, কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিসহ ঝোড়ো হাওয়া বয়ে গেছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ১৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে রাজশাহীতে। এ ছাড়া কুষ্টিয়ার কুমারখালিতে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। তবে রাজশাহীতে বৃষ্টির সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হয়েছে।
এই বৃষ্টির মধ্য দিয়ে শীতকাল পুরোপুরি বিদায় নিয়েছে বলে জানান আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস প্রথম আলোকে বলেন, পশ্চিমা লঘুচাপের কারণে সারা দেশে বৃষ্টি হয়েছে। এ সময় এ ধরনের বৃষ্টির মধ্য দিয়ে ঋতু পরিবর্তন হয়ে থাকে। তা ছাড়া শীতের বাতাস এখন বন্ধ হয়ে গেছে।
প্রতিদিন সকাল সাতটার দিকে মিরপুরের সাংবাদিক আবাসিক কলোনির বাসা থেকে গুলশানে অফিসে যেতে হয় ফয়সাল আহমেদকে। সিএনজিচালিত অটোরিকশায় চড়ে যাওয়ার পথে মেয়ে প্রীতিকে স্কুলে নামিয়ে দেন। কিন্তু আজ সকালে পড়েন বিপত্তিতে। রওনা হওয়ার সময় আকাশে মেঘের গর্জন। এরপর ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। আধঘণ্টা অপেক্ষা করলেন। তবে দুর্ভোগ এখানেই শেষ হয়নি। সাংবাদিক আবাসিক কলোনির সামনেটা বৃষ্টির পানিতে টইটম্বুর। হাঁটু পর্যন্ত প্যান্ট উঁচিয়ে রাস্তা পাড় হন ফয়সাল। সেখান থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে অফিস যাত্রা। ব্যাংকার ফয়সালের মতো রাজধানীর অফিসগামী অসংখ্য মানুষকে আজ বৃষ্টির কবলে পড়ে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।