মানিকগঞ্জ: তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তার ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে মানিকগঞ্জ বিচারিক হাকিম আদালত-৭-এর বিচারক এ আদেশ দেন। এর আগে আজ সকালে ঢাকার ধামরাই উপজেলার কালামপুর এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এই দুই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন সাটুরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সেকেন্দার হোসেন ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মাজহারুল ইসলাম।
সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে দুপুরে মানিকগঞ্জ বিচারিক হাকিম আদালত-৭-এ হাজির করা হয়। পুলিশ তাঁদের প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করে। শুনানি নিয়ে বিচারক মোহাম্মদ গোলাম সারোয়ার তাঁদের ছয় দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে আজ ভোরে পালিয়ে যাওয়ার সময় ঢাকার ধামরাই উপজেলার কালামপুর এলাকা থেকে এই দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে। তাঁরা মানিকগঞ্জ পুলিশ লাইনে সংযুক্ত ছিলেন।
এদিকে দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায় এ বিষয়ে গঠিত পুলিশের তদন্ত কমিটি। ভুক্তভোগী তরুণী গতকাল সোমবার রাতে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের ভাষ্য অনুযায়ী, ঢাকার আশুলিয়ার এক নারী এসআই সেকেন্দারের কাছে টাকা পান। ওই টাকার জন্য তিনি গত বুধবার পরিচিত এক তরুণীকে সঙ্গে নিয়ে সাটুরিয়া থানায় যান। থানায় যাওয়ার পর সেকেন্দার তাঁদের থানার পাশে জেলা পরিষদের ডাকবাংলোয় নিয়ে যান। একপর্যায়ে এএসআই মাজহারুল সেখানে হাজির হন। এরপর ওই নারীকে একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। আর তরুণীকে পাশের কক্ষে গত শুক্রবার সকাল পর্যন্ত আটকে রেখে কয়েক দফায় ধর্ষণ করেন ওই দুই কর্মকর্তা।
অভিযোগ শোনার পর মানিকগঞ্জের এসপি রিফাত রহমানের নির্দেশে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) হাফিজুর রহমানকে প্রধান করে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। গতকাল তদন্ত কমিটির সদস্যরা ওই তরুণী ও নারীর সঙ্গে কথা বলেন।
তদন্ত কমিটির প্রধান হাফিজুর রহমান গতকাল রাতে সাংবাদিকদের বলেন, অভিযুক্ত দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এরপরই মামলা হয়।