প্রাণকৃষ্ণ বিশ্বাস প্রান্ত: হাউজিং ও রিয়েল এস্টেট ব্যবসার দেখভালকারী সরকারি কর্মীদের স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তিনি বলেন, ‘শতভাগ স্বচ্ছতা নিয়ে আপনাদের কাজ করতে হবে। যারা এর বাইরে যাবেন তাদের ঠিকানা হবে জেলখানায়।’ বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) আয়োজিত রিহ্যাব মেলা-২০১৯ উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কিছু অসাধু কর্মকর্তা আছেন। যখন বেআইনিভাবে ভবন নির্মাণ করা হয় তারা তখন তা দেখেন না। আর রাজউক যখন বেআইনিভাবে নির্মিত ভবন ভাঙতে যায় তখন কষ্টের টাকায় কেনা গ্রাহকরা ক্ষতিগ্রস্ত হন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের নির্বাচনি অঙ্গীকার ছিল নাগরিকের আবাসন নিশ্চিত করা। এরই মধ্যে বেসরকারিভাবে দুই লাখ ফ্ল্যাট ও ৭০ হাজার প্লট গ্রাহকের মধ্যে হস্তান্তর হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘অনেকেই আছেন যারা রিহ্যাব সদস্য না হয়েও ব্যবসা করছেন। অনেকেই টাকা নিয়ে ৫-৬ বছর ধরে আটকে রাখছেন, তবু বাড়ি নির্মাণ করছেন না। এটা নিরসন করতে হবে। কারণ, ব্যবসা মানে প্রতারণা না। আস্থা আনতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ দুটি ব্যবসাকে ভয় পায়। ম্যানপাওয়ার ও অসাধু আবাসন ব্যবসা। এ অবস্থা দূর করতে হবে। মানুষের মধ্যে আস্থা ফেরাতে হবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রিহ্যাব সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন। তিনি বলেন, ‘আবাসন ব্যবসার সমস্যা নিরসনে কাজ করে যাচ্ছে রিহ্যাব। আবাসন খাত বারবার সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। আমরা সরকারের সঙ্গে মিলে কাজ করতে চাই। আমাদের কোনও হয়রানি করবেন না।’
সরকারের কাছে আবাসন ব্যবসায়ীদের জন্য জমির ব্যবস্থা করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের জমির ব্যবস্থা করে দিলে রাজউক যে দামে বিক্রি করছে তার চেয়ে কম দামে আমরা ফ্ল্যাট দিতে পারবো।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রিহ্যাব ভাইস প্রেসিডেন্ট লিয়াকত আলী ভুইয়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সংসদ সদস্য নুরুন নবী চৌধুরী শাওন প্রমুখ।