রাতুল মন্ডল,শ্রীপুর: জনদূর্ভোগ শুধু জনপ্রতিনিধিরা দূর করবে সেই দিন শেষ। পেশাদারিত্বের পরও কিছু কাজ থাকে প্রত্যেক নাগরিকের সেটি যেন মনে করিয়ে দিলেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার গড়গড়িয়া মাস্টার এলাকায় মহাসড়কের পশ্চিম পাশে প্রায় এক কিলোমিটার জায়গা জোরে রাখা হয়েছিল পৌরসভার সকল ময়লা আবর্জনা। এক পর্যায় মহাসড়কের সেই জায়গাটি ময়লার ভাগারে পরিণিত হয়। সড়কে চলাচল করা পথচারীদের গলার কাটা হয়ে উঠে এটি (ময়লার ভাগার)।
ময়লার দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরে পাশের দু’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। দুর্গন্ধের কারণে নাক চেপে ধরে ক্লাস করতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের। অন্তহীন দুর্ভোগের শেষ কথা জানা ছিল না কারও। মানববন্ধন, প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সংবাদেও টনক নড়েনি প্রশাসন অথবা পৌরসভা কর্তৃপক্ষের। মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.দোলেয়ার হুসেন নিজের পেশাদারিত্বের কাজের পরও ময়লা অপসারণের উদ্দ্যোগ নেয়।
বুধবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মাওনা হাইওয়ে ওসির নির্দেশনায় দু’টি ভ্যেকুর মাধ্যমে সড়কের পাশের ময়লা আবর্জনা ট্রাকে তুলে সরিয়ে নেয়া হয়। এরপর দুর্গন্ধযুক্ত জায়গা শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় পানি দিয়ে দুর্গন্ধমুক্ত করা হয়। ওসি মো.দেলোয়ার হুসেন নিজেই এমন মানবিক কাজের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
ময়লা সরিয়ে নেয়ার সময় কয়েকজন পথচারি বলেন, ‘ওসি সাহেবের এমন কাজ আমাদের আনন্দিত করেছে’ ‘ময়লার ভাগারটির জন্য আমাদের অনেক দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে’ পরবর্তী সময়ে পৌরসভার ময়লা এখানে না ফেলার দাবি করেন তারা।
ছাত্রলীগ নেতা সুলতান মো.সিরাজ বলেন, গত ৩ ফেব্রুয়ারি দুর্গন্ধ দূর করতে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে শত কেজি ব্লিচিং পাউডার ও চুনা ছিটিয়ে দেয়া হয়েছিল। হাইওয়ে ওসির এই উদ্দ্যোগ সত্যি আমাদের আশার আলো জাগিয়েছে। এরপর মেয়রের কাছে আমাদের দাবি থাকবে এখানে ভবিষ্যতে কোন ময়লা ফেলা না হয়।
মাওনা হাইওয়ে থানার (ওসি) মো.দেলোয়ার হুসেন বলেন, পেশাদারিত্বের পরও মানুষের জন্য কিছু করতে পারাটা একটু অন্যরকম আনন্দ। ময়লার দুর্গন্ধের বিষয়টি আমার নজরে আসে। ময়লা অপসারণ করার উদ্দ্যোগ গ্রহণ করি। প্রথমে ভ্যেকু দিয়ে ময়লা গুলো ট্রাকে ভরে সরিয়ে ফেলা হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় মহাসড়ক ধুঁয়ে দুর্গন্ধ মুক্ত করা হয়েছে। ভবিষ্যতে যেন কেউ এখানে ময়লা না ফেলতে পারে সেই জন্য হাইওয়ে পুলিশের নজরদারি থাকবে।