গাইবান্ধায় প্লাস্টিকের চাল বিক্রির অভিযোগে বিভিন্ন চালের দোকানে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এ সময় শহরের নতুন বাজারের রুবান দেওয়ানের দোকান থেকে ১৫ কেজি প্লাস্টিকের কৃত্রিম চাল জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনা তদন্তে আজ মঙ্গলবার গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পুুলিশ জানায়, সোমবার সকালে আলী হায়দার রনি নামে এক ব্যক্তি তার বাড়িতে ভাত রান্না করতে গিয়ে প্লাস্টিক চালের সাদৃশ্য দেখতে পান।
প্লাস্টিক চাল ভেবে তিনি চাল নিয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় হাজির হন।
অভিযোগ পেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম সরকার ও গাইবান্ধা সদর থানার ওসি শাহরিয়ার খান পুলিশ নতুন বাজারে নোমান মিয়ার চালের দোকানে অভিযান চালিয়ে আরও দেড় বস্তা চাল উদ্ধার করেন এবং দোকানের চাল বিক্রি বন্ধ করে দেন।
এছাড়াও পুলিশ ওই চালের খোঁজে কয়েকটি দোকানে অভিযান চালায়। ক্রেতা রনি মিয়া জানায়, চালটি আগুনে দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুড়ে প্লাস্টিকের আকার ধারণ করে।
ভুক্তভোগী আলী হায়দার রনি জানান, ভাত খেতে গিয়ে তার কাছে মনে হয়েছে এই ভাত প্রকৃত চালের মতো মনে হচ্ছে না। এই চালের ভাত খেতে গিয়ে তার পেটের ব্যথা শুরু হয়। তখন তার সন্দেহ হলে তিনি চাল যাচাই করতে পুলিশের কাছে যান।
গাইবান্ধার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাসুম আলী বলেন, চালগুলো আদতে প্লাস্টিক কিনা তা পরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে। প্লাস্টিকের চালের খবর প্রচারের পর সাংবাদিকরা ভিড় করছেন অভিযোগকারী ও সংশ্লিষ্ট দফতরে।
এদিকে, গাইবান্ধা জেলা খাদ্য কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম জানান, এই চাল প্লাস্টিকের নয়। অন্যান্য চালের মতোই স্বাভাবিক চাল। কাজেই এতে ঘাবড়ানোর কিছু নেই।