হাসানুজ্জামান হাসান,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ কাজ শুরুর পর পেরিয়ে গেছে ৩ বছর। এখন পর্যন্ত নির্মাণ কাজের অর্ধেকও শেষ হয়নি। ঝুলে আছে নির্মাণ কাজের সময় বৃদ্ধির প্রক্রিয়াও।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের কর্ণপুর ও দুরাকুটির কয়েক হাজার মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে রত্নাই নদীতে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অবহেলায় এখন পর্যন্ত কাজের অর্ধেক শেষ না হলেও এলজিইডি দাবি করছে সেতুটির ৬০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
লালমনিরহাট এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, ৫ কোটি ২৪ লাখ ৩২ হাজার ২৭১ টাকা চুক্তিতে সেতুটি নির্মাণ কাজের দায়িত্ব দেয়া হয় মেসার্স সুরমা অ্যান্ড আবু বক্কর নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে।
ওয়ার্ক অর্ডার হয় ২০১৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বর। কথা ছিল ২০১৮ সালের ৩১ মে নির্মাণকাজ শেষ করতে হবে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ তো করেইনি, উল্টো চুক্তির ২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা তুলে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এদিকে সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করতে মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য করা আবেদনের কোনো সুরাহা হয়নি। কিন্তু নতুন যোগদানকৃত নির্বাহী প্রকৌশলীর চাপে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক গোলাম রব্বানী নড়েচড়ে বসেছেন বলে জানা গেছে।
তিনি এরই মধ্যে ফের নির্মাণকাজ শুরু করেছেন।
লালমনিরহাট সদর উপজেলা প্রকৌশলী শাহ মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, চুক্তি মোতাবেক কাজ বুঝে নেয়া হবে। সেতুটিতে ৪০ মিটারের ১২টি গার্ডার ও তিনটি স্প্যান থাকার কথা।
এছাড়া দুটি এবাটমেন্টের ওপর সেতুটির দৈর্ঘ্য হবে ১২০ মিটার ও প্রস্থ হবে ৭ দশমিক ৩২ মিটার। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত এবাটমেন্ট, দুটি স্প্যান ও দুটি গার্ডার নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।
বাকি রয়েছে সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ। এখন অবশিষ্ট স্প্যান ও গার্ডার নির্মাণের কাজ চলছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাব-ঠিকাদার মো. মোন্নাফ মিয়া বলেন, কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে কিনা তা আমি জানি না।
তবে বর্ষার সময় নির্মাণকাজ বন্ধ ছিল। এখন আবারো কাজ শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আমিরুজ্জামান বলেন, আমি সবেমাত্র এখানে যোগদান করেছি।
মোগলহাটের রত্নাই নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতুটির নির্মাণকাজ বন্ধ ছিল। আমি যোগদানের পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চাপ দিয়ে নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে।