হাসানুজ্জামান হাসান,লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা পাইকারটারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী অপহৃত সোহাগী (১৪) কে উদ্ধারের দাবীতে ঘন্টাব্যাপী এক মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীও অভিবাভকরা।
বুধবার দুপুরে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কের স্থানীয় বড়খাতা বাসস্টান্ডে রাস্তার দুইধারে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজন এ মানববন্ধনে অংশ নেয়।
বড়খাতা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল সোহেল মানববন্ধনে বলেন, আসামীদের হাতীবান্ধা থানায় রিমান্ডে আনলে তারা সোহাগীকে অপহরণের বিষয় স্বীকার করে জবানবন্দিতে বলেন মেয়েটিকে অপহরণ করে ভারতে পাচার করা হয়েছে।
১ সপ্তাহের মধ্যে মেয়েটিকে ফেরত দেয়ার কথা থাকলেও আজও ফেরত পাওয়া যায়নি
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিষদ সদস্য মর্জিনা বেগম, সোহাগীর বাবা শহিদুল ইসলাম ভুট্টু, মা আফরোজা বেগম, সহপাঠী লাবিবা আক্তার ও আমিনা খাতুন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাতীবান্ধা থানার উপ পরিদর্শক মিজানুর রহমান বলেন, এজাহারভুক্ত ৩ আসামীকে রিমান্ডে আনলে তারা দায় স্বীকার করে মেয়েটিকে ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক জানান, বৃহস্পতিবার আসামীদের পূনরায় রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
মেয়েটিকে উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার পূর্ব সারডুবি গ্রামের শহিদুল ইসলাম ভুট্টুর মেয়ে সোহাগী স্কুল আসার পথে গত বছরের ১৪ অক্টোবর অপহৃত হয়।
এ ঘটনায় ২৬ অক্টোবর স্থানীয় থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়। যার মামলা নং- ২২, তারিখ- ২৬/১০/১৮ খ্রিঃ।
এতে প্রদীপ চন্দ্রকে প্রধান করে ৬ জনকে আসামী করা হয়।
উক্ত মামলায় ফকিরপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নুরল ইসলামের ছেলে সুমন রয়েছে। বর্তমানে প্রধান আসামী পলাতক থাকলেও অপর ৫ আসামী জেল হাজতে রয়েছেন।