পার্বত্যাঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের শিক্ষার উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে অস্ট্রেলিয়া সরকার বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার জুলিয়া নিবলেট। তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়া সরকার বাংলাদেশের শিক্ষা উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। প্রতি বছর অস্ট্রেলিয়ান সরকার ৭০ জন বাংলাদেশী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিয়ে থাকে। তার মধ্যে ১০ ভাগ বৃত্তি বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বরাদ্দ আছে।
বৃত্তি সম্পর্কে স্থানীয় জনগণকে অবহিত করার পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থানীয় প্রশাসন সম্পর্কে অবগত হওয়ার জন্য তার এ সফর।
আজ বুধবার সকাল ১১টায় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সম্মেল কক্ষে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমার সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার জুলিয়া নিবলেট এসব কথা বলেন।
এ সময় অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারি জেইন হার্ডি, প্রোগ্রাম ব্যবস্থাপক এম আই নাহিল, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য সাধনমনি চাকমা, সবির কুমার চাকমা, জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা, ত্রিদীব কান্তি দাশ, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী ক্য হা খই, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের জনসংযোগ কর্মকর্তা অরুনেন্দু ত্রিপুরা উপস্থিত ছিলেন।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, অস্ট্রেলিয়ান সরকারের এ উদ্যোগ দেশের মানবসম্পদ উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা রাখবে। বিগত সময়ে ইউএনডিপির সহযোগিতায় অস্ট্রেলিয়ান সরকারের বৃত্তি নিয়ে এ অঞ্চলের যে সব ছাত্র-ছাত্রী অস্ট্রেলিয়া থেকে পড়াশুনা করে ডিগ্রি অর্জন করেছে। তারা দেশে-বিদেশে নিজেদের অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, অস্ট্রেলিয়ান সরকার বৃত্তির পাশাপাশি এ অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এগিয়ে আসবে।