‘দেশের সাংবাদিকতা পেশায় অনন্য অবদান রাখায়’ প্রখ্যাত লেখক ও কলামিস্ট আব্দুল গাফফার চৌধুরীকে আজীবন সম্মাননা প্রদান করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ।
রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ‘আতাউস সামাদ ট্রাস্ট ফান্ড আজীবন সম্মাননা, স্মারক বক্ততা ও বৃত্তি প্রদান’ অনুষ্ঠানে তাকে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথি থেকে এই সম্মাননা প্রদান করেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে আব্দুল গাফফার চৌধুরী অনুপস্থিত থাকায় তার পক্ষে সম্মাননার ক্রেস্ট ও সম্মানী গ্রহণ করেন আলী হাবিব।
বিভাগের চেয়ারম্যান ড. কাবেরী গায়েনের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. আবুল বারাকাত, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, কবি আসাদ চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে ‘সংবাদপত্রে কলাম: তাৎপর্য ও শৈলী’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা প্রদান করেন সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রহমান। স্মারক বক্তৃতায় তিনি বলেন, গণতন্ত্র চর্চার অন্যতম প্রতিষ্ঠান স্বাধীন সংবাদপত্র তথা গণমাধ্যম। আর সংবাদপত্রের জনপ্রিয়তা নির্ভর করে এর কলাম জনমনে কতটা প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে তার উপর।
অনুষ্ঠানে সম্মাননা পাওয়া আব্দুল গাফফার চৌধুরীকে অভিনন্দন জানিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, তার লিখনী বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকে আমাদের জাতীয়তা বিকাশে সহায়তা করেছে। এখনকার বাস্তবতায় যেখানে আমরা অনেক কঠিন কথা বলতে পারি না, এ জায়গাতেই কথা বলেন আব্দুল গাফফার চৌধুরীর মত লোকেরা। আমরাও তাদের সুরে সুর মিলিয়ে কথা বলতে পারি।
তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে অনেক বৈচিত্র্য থাকবে, অমিল থাকবে। কিন্তু এর মধ্যেই ঐক্য থাকতে হবে।
আমরা ডাকসু নির্বাচনের উদ্যোগের নিয়েছি। এর মধ্যেও বৈচিত্র্য থাকবে। এর মধ্যেই ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আদর্শ এটাই।
অনুষ্ঠানে পাঁচ শিক্ষার্থীকে আতাউস সামাদ স্মারক ফান্ড বৃত্তি প্রদান করেন। উপাচার্য বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের হাতে বৃত্তির সনদপত্র ও চেক তুলে দেন।