একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক বিজয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন ওআইসির মহাসচিব ড. ইউসেফ বিন আহমাদ আল ওথাইমেন।
ওআইসির মহাসচিব আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে শান্তি, উন্নয়ন ও অগ্রগতির যাত্রা অব্যাহত থাকবে।
মহাসচিব পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের ৪৬তম কাউন্সিলের জন্য ওআইসির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রস্তুতি সভায় আজ এ অভিনন্দন জানান।
ওআইসির মহাসচিব আজ জেদ্দায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতকালে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।
এ সময় তারা বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয় ও ওআইসির সাধারণ স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন।
সকালে জেদ্দায় ওআইসির সদর দপ্তরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক তিন দিনব্যপি ওআইসির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সভার উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি আরব আমিরাতের প্রতিনিধিদলের কাছে পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের ৪৬তম কাউন্সিল আয়োজনের জন্য চেয়ার হস্তান্তর করেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ২০১৮ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের ৪৫তম কাউন্সিল আয়োজন করেছিল। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও ওআইসির স্থায়ী প্রতিনিধি গোলাম মসীহ এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বিবৃতিতে পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক সকল সদস্য রাষ্ট্রের অংশগ্রহণকারীদের স্বাগত জানান এবং বাংলাদেশের সভাপতিত্বকালে তাদের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান। এ সময় তিনি বাংলাদেশের সভাপতিত্বকালে অর্জিত ওআইসির সাফল্যের কথা তুলে ধরেন। তিনি ওআইসিতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ও মুসলিম উম্মাহর জন্য গৌরবময় ও প্রগতিশীল ভুমিকার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা উল্লেখ করেন। পররাষ্ট্র সচিব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি ও গতিশীল নেতৃত্বের অধীনে, “স্থায়ী শান্তি, সমতা ও উন্নয়নের জন্য ইসলামিক মূল্যবোধ” রূপরেখা প্রনয়ণেনে বাংলাদেশের কথা তুলে ধরেন।
শহিদুল হক ফিলিস্তিনের সমস্যা ও রোহিঙ্গা সঙ্কটে মানবিক মূল্যবোধ বিবেচনায় নিয়ে মুসলিম দেশগুলোকে নেতৃত্ব প্রদান করায় ওআইসির সদস্য রাষ্ট্র সমূহকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সভাপতিত্বকালে জাতিসংঘে ফিলিস্তিন বিষয়ক আলোচনার প্রেক্ষিতে ফিলিস্তিনের বেসামরিক সুরক্ষার জন্য জরুরি সহায়তার প্রস্তাবটি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে কার্যকর হয়েছে। পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের সঙ্কট মোকাবেলার জন্য জাতিসংঘে একই ধরণের প্রতিশ্রুতি চেয়েছিলেন। শহিদুল হক রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত নেয়ার লক্ষ্যে একটি জবাবদিহিমূলক কাঠামো নিশ্চিত করার জন্য সদস্য রাষ্ট্র সমূহকে আহবান জানান।