মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি হোল্ডিং-ট্যাক্স মুক্ত করার প্রস্তাব দিবে সিটি করপোরেশন

জাতীয়

bbbbমহানগরীতে বসবাসরত সব মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি হোল্ডিং-ট্যাক্স মুক্ত করার প্রস্তাব সরকারের কাছে পেশ করবে বিভক্ত ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন।
এ ছাড়াও এখন থেকে প্রতি বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত উভয় করপোরেশনে আলাদা করে মুক্তিযোদ্ধাদের সমস্যা শোনার জন্য সময় বরাদ্দ রাখা হবে।

মঙ্গলবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ওসমানী উদ্যানে দুই সিটি করপোরেশনের আয়োজিত মহানগরীতে বসবাসরত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। দুই করপোরেশন এদিন সাড়ে তিন হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা দেয়।

মুক্তিযোদ্ধাদের দাবির প্রেক্ষিতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বি এম এনামুল হক এ ঘোষণা দেন। মহানগরীতে বসবাসরত মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ সুবিধা দিতে এ দুটি ঘোষণা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ‘খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকলে আজ এখানে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হতো না। এখানে সংবর্ধনা দেওয়া হতো রাজাকার-আল বদরদের। কেননা খালেদা জিয়া রাজাকারদের ভালোবাসেন।’

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রশাসক মো. শওকত মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক ড. রাখাল চন্দ্র বর্মণ। আরো বক্তব্য দেন ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনছার আলী খান, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বি এম এনামুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কৃষিবিদ ড. শহীদুল হক, আনোয়ার হোসেন বীরবিক্রম প্রমুখ।

অনুষ্ঠান শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এর আগে বেলা ১১টায় জাতীয় পতাকা, শান্তির প্রতীক কবুতর ও বেলুন ওড়ানোর মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়।

উল্লেখ্য, সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে ঢাকা মহানগরীতে বসবাসরত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া শুরু হয় ২০০২ সালে। এরপর থেকে প্রতি বছর সিটি করপোরেশন এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছে। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি মুক্তিযোদ্ধাদের মিলনমেলায় পরিণত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *