ঢাকা: প্রায় পাঁচ দশকের পেশা জীবনে সাংবাদিকদের রুটি-রুজির আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা এই নেতা এরশাদের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনেও পেশাজীবীদের মধ্যে নেতৃত্বের কাতারে ছিলেন।
তার ছেলে শাতিল কবীর জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত পৌনে ১টার দিকে তার বাবার মৃত্যু হয়।
আসছে ২৪ জানুয়ারি ৭২ বছর পূর্ণ করার কথা ছিল আমানুল্লাহ কবীরের। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ডায়াবেটিস ও লিভারের নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। বছর তিনেক আগে বড় ধরনের হার্ট অ্যাটাক হওয়ার পর থেকেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছিল।
মেয়ে শোভন কবীর জানান, অসুস্থতার কারণে দুই সপ্তাহ আগে শ্যামলীর ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল আমানুল্লাহ কবীরকে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে তাকে নেওয়া হয়েছিল ধানমণ্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে। সেখান থেকে তাকে বিএসএমএমইউতে নেওয়া হয়।
আমানুল্লাহ কবীরের মৃত্যুর পর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান তৌফিক ইমরোজ খালিদী এক ফেইসবুক পোস্টে বলেন, “দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের নির্দিষ্ট কিছু অধ্যায়ের ব্যাখ্যা নিয়ে আমাদের অনেকেই হয়ত তার সঙ্গে একমত ছিলাম না, কিন্তু তার সততা আর নিষ্ঠার জন্য, পেশার প্রতি তার আন্তরিকতার জন্য আমরা সবাই তাকে স্মরণ করব।”
তৌফিক ইমরোজ খালিদী লিখেছেন, আমানুল্লাহ কবীর সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরোধিতা করে গেছেন। আর ওই শক্তির সাথে যাদের ওঠাবসা, তাদের করেছেন ঘৃণা।
“কবির ভাই একসময় ছিলেন এ দেশের একজন প্রভাবশালী সাংবাদিক, বিশেষ করে ১৯৮০ আর ৯০ এর দশকে। কিন্তু জীবন যাপনে তিনি ছিলেন সংযমী, সেই ক্ষমতার কোনো সুবিধা না নিয়ে তিনি থাকতে পেরেছিলেন। তার জীবনের শেষ অধ্যায়ে তাকে সহকর্মী হিসেবে পেয়ে আমরা গর্বিত।”