কাজে ফিরেছেন শ্রমিকেরা

Slider সারাদেশ


সাভার: সাভার ও আশুলিয়ার পোশাক শ্রমিকেরা আজ মঙ্গলবার কাজে ফিরেছেন। টানা আট দিন বিক্ষোভ চলার পর আজ এ অঞ্চলের দু-একটি কারখানা ছাড়া অন্য সব কারখানায় কাজ চলছে। কারখানাগুলোর সামনে পুলিশ মোতায়েন আছে। পুলিশ ও র‍্যাবের সদস্যরা টহল দিচ্ছে এই দুই শিল্প এলাকায়।

নতুন মজুরি কাঠামো অনুযায়ী প্রতিশ্রুত মজুরি না দেওয়ার প্রতিবাদে ও মজুরি কাঠামোর পরিবর্তনের দাবিতে সপ্তাহজুড়ে সাভার, আশুলিয়া, রাজধানীর উত্তরা, মিরপুর, বাংলা কলেজ এলাকায় বিক্ষোভ করেন শ্রমিকেরা। আশুলিয়ার জামগড়া ও নরসিংহপুরে বিক্ষোভ বেশি হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষে একজন শ্রমিক নিহত হন। শ্রমিক ও পুলিশ মিলিয়ে আহত দুই শতাধিক। শ্রমিকেরা বিভিন্ন সময় সড়ক অবরোধ করেন। এতে যান চলাচল ব্যাহত হয়।

পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলনের মুখে গত রোববার সচিবালয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে ছয় গ্রেডে ১৫ থেকে ৭৪৭ টাকা মজুরি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত ডিসেম্বর থেকে এই কাঠামো কার্যকর হবে। ডিসেম্বরের বেতন হয়ে যাওয়ায় আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে বকেয়া বাড়তি বেতন পাবেন শ্রমিকেরা।
তবে মজুরি কাঠামো পুনর্বিন্যাস আশুলিয়ার প্রায় ৫০টি কারখানা থেকে শ্রমিকেরা গতকালও কাজ না করে বেরিয়ে যান।

তবে আজ দু-একটি ছাড়া অন্য সব কারখানায় কাজ চলেছে। আজ আশুলিয়ার বাইপাইল থেকে নরসিংহপুর পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তার দুপাশের কারাখানায় কাজ চলছে। কোথাও শ্রমিক বিক্ষোভ নেই। অনেক কারখানার সামনে পুলিশের উপস্থিতি চোখে পড়েছে। রাস্তায় পুলিশ ও র‍্যাবের টহলও চোখে পড়েছে। রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক ছিল।

বেলা ১১টার দিকে আশুলিয়ার জামগড়া সাফা সোয়েটার নামের বেকটি কারখানার শ্রমিকেরা কাজ না করে বেরিয়ে যান। তবে সেখানে অপ্রীতিকর কিছু ঘটেনি। পাশে এফএনএফ ট্রেড ফ্যাশন নামের একটি কারখানাও বন্ধ পাওয়া যায়। কর্তৃপক্ষ মূল ফটকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নোটিশ টানিয়ে রেখেছে। আজই এ নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

একই সময় ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান ফ্যান্টাসি কিংডমে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি বলেন, সব কারাখানা খুলে গেছে। শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার বলেন, শ্রমিক অসন্তোষের উৎসাহ জুগিয়েছেন এমন কয়েকজনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলাও হয়েছে আশুলিয়া ও সাভার থানায়। কোনো নিরীহ শ্রমিক যাতে হয়রানির শিকার না হয়, সে দিকে আমরা নজর রাখছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *