ঘরের কোন জায়গায় কোন গাছটা কী ভাবে রাখবেন। অনেকেই তা জানতে আগ্রহী।
চোখ জুড়নোর জন্য ঘরে গাছ রাখতে চাইলে বেছে নিতে পারেন যে কোন জায়গা। ছোট মানিপ্ল্যান্ট কিংবা সাক্যুলেন্ট রাখার ভাস বানিয়ে ফেলতে পারেন আপনি নিজেই।
নকশাদার কৌটো, সুন্দর গড়নের কাচের বোতল, পাখির খাঁচা, পুরনো লন্ঠনকে ফ্লাওয়ার ভাস হিসেবে ব্যবহার করুন।
হ্যা ঙ্গিং ফ্লাওয়ার পটের কনসেপ্ট ছোট ফ্ল্যাটের জন্য আদর্শ। বেডরুমের সিলিং থেকে ঝুলাতে পারেন পোথোস কিংবা মানিপ্ল্যান্ট লাগানো হ্যাঙ্গিং পট। খোলা বারান্দা থাকলে উপর থেকে ঝুলিয়ে দিলেও ভাল দেখায়। ঘরে ঢোকার মুখে করিডর থাকলে সেখানে হ্যাঙ্গিং পট রাখতে পারেন। না ঝুলিয়ে দেওয়ালে ফ্রেমের মতো আটকে তাতেও গাছ রাখা যেতে পারে।
বসার ঘরের এক কোণে বড় ভাস এ রাখতে পারেন স্পাইডার প্ল্যান্ট বা স্নেক প্ল্যান্ট।
চোখের আরামের পাশাপাশি অক্সিজেন জোগানোর কাজটাও করে দেবে। আশপাশ থেকে টক্সিনও শুষে নেয় এই জাতীয় গাছ। ব্যালকনির গ্রিলের ফাঁকে ঝুলিয়ে দিতে পারেন ক্যাকটাস কিংবা জেড প্ল্যান্টের টব। এগুলোর পরিচর্যার পেছনে পরিশ্রমও কম।
ঘরে লম্বা বুক শেল্ফ থাকলে সেটা সাজাতে পারেন লতানে আইভি দিয়ে। বই-পেনস্ট্যান্ড-ফটো ফ্রেম, এসবের পাশেই জায়গা দিন কারুকাজ করা ছোট ছোট গাছের টবগুলোকে। রান্নাঘরকে অর্গ্যানিক লুক দিতে চাইলে এক কোণে শেল্ফ তৈরি করে তাতে ফুলের টব রাখুন। পড়ার ঘরের টেবিলে টেরাকোটা বা পোলকা ডটেড ফ্লাওয়ার পটে ফুলগাছ লাগাতে পারেন। পারলে টবগুলো নিজেই ডেকরেট করুন। কাচের বয়ামে টের্যারিয়াম গোছের গাছ লাগিয়ে টেবিল সাজাতে পারেন। বিছানার পাশে একটা ছোট তেপায়া টেবিলেও আলাদা করে রাখতে পারেন ফ্লাওয়ার পট।
বাথরুমে একটু সবুজের ছোঁয়া থাকা দরকার?
বেসিনের পাশে রেখে দিন একটা স্নেক বা স্পাইডার প্ল্যান্ট। এয়ার পিউরিফায়ার হিসেবেও কাজ করবে। কম আলো, আর্দ্র পরিবেশেও দিব্যি থাকে এই ধরনের গাছ। রঙিন অর্কিড, ফার্ন বা বনসাইও রাখতে পারেন চাইলে। বাথরুমের আয়নার পাশ দিয়ে ঝুলাতে পারেন আইভি। একটা চওড়া গামলায় নুড়ি জমিয়ে ওয়াটার লেটুস রাখলেও ভাল দেখাবে। ড্যাম্প ধরা থেকে রেহাই পেতে রাখুন পিস লিলির মতো প্ল্যান্ট। ড্রয়িং রুম কিংবা লাগোয়া বারান্দায় জায়গা থাকলে আলাদা করে তাক বানাতে পারেন শুধু গাছের টব রাখার জন্যই।