সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অন্তঃস্বত্ত্বা এক গৃহবধূর লাশ ফেলে পালিয়েছেন স্বামী।
বুধবার সকালে হাসপাতালে গিয়ে চম্পা রানী মালাকার নামের ওই গৃহবধূর লাশ দেখতে পান তার স্বজনরা।
এ ঘটনায় জালালাবাদ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন চম্পার চাচী নিবু রানী মালাকার।
চম্পা রানী মালাকার সিলেটের দক্ষিণ সুরমার সদরখলা গ্রামের মৃত বিমল মালাকারের মেয়ে ও সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ থানার রাজারগাঁও হাটখোলা গ্রামের নকুল সূত্রধরের স্ত্রী।
অভিযোগে নিবু মালাকার উল্লেখ করেছেন, প্রায় ৯ মাস পূর্বে রাজারগাঁও হাটখোলা গ্রামের মৃত রবিন্দ্র সূত্রধরের ছেলে নকুল সূত্রধরের সঙ্গে চম্পার বিয়ে হয়। এরপর থেকে নকুল যৌতুকের দাবিতে সে চম্পাকে নির্যাতন করে আসছিল।
চম্পার ভাই উজ্জ্বল মালাকার জানান, বুধবার ভোরে ফোন করে তাদের জানানো হয় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চম্পা ওসমানী হাসপাতালে মারা গেছেন। খবর পেয়ে সকালে গিয়ে চম্পার লাশ ওসমানী হাসপাতালের হিমঘরে দেখতে পান তারা।
উজ্জ্বলের দাবি, তার বোন চম্পাকে হত্যা করে লাশ হাসপাতালে ফেলে গেছে নকুল। এরপর সে গা ঢাকা দিয়েছে।
জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ হারুনুর রশীদ জানান, এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।