মাগুরা সদর উপজেলার শ্রীকান্তপুর গ্রামে ভেজাল সার ও কীটনাশক তৈরির বড় ধরনের একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে কৃষি বিভাগ। আজ বিকালে মোস্তাফিজুর রহমান কাজল নামে এক ব্যক্তির অবৈধ কারখানা থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমান ভেজাল সার ও কীটনাশক।
মাগুরা সদর উপজেলার সহকারি ভূমি কমিশনার মোহম্মদ মাহাবুবুল আলম ও সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা রুহুল আমীন ৪ হাজার ২শ’ কেজি ম্যাগনেসিয়াম সালফেট, ৬২ বস্তা ডলোচুন, ৩ হাজার ৭৬০ কেজি জিপসাম সার, ২৫ বস্তা পাথর কুচি, ৮ বস্তা বালি, ২৫ প্যাকেট দস্তা, কনফিডেন্স নামে বিপুল পরিমান ভেজাল কীটনাশকসহ কীটনাশক তৈরীর ইনডাস্ট্রিয়াল রং ও নানা উপকরন উদ্ধার করেছে। এসব ভেজাল সার ও কীটনাশক বাজারে বিক্রি করতে পারলে কাজল কমপক্ষে অর্ধকোটি টাকা অবৈধভাবে আয় করতো।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুহুল আমীন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুপুরে কাজলের এই কারখানায় অভিযান চালালে এসব মালামাল উদ্ধার হয়। দীর্ঘদিন ধরে কাজল এ কারখানায় এসব ভেজাল সার ও কীটনাশক ব্যবহার তৈরি করে বাজারজাত করছে। যা মাটির উর্বরতা বৃদ্ধির বিপরীতে ব্যাপক ক্ষতি করছে। পাশাপাশি এসব কীটনাশক কিনে কৃষকরা প্রতারিত হচ্ছে। ক্ষতি হচ্ছে ফসলের। এ কারখানার বৈধ কোন কাগজপত্র নেই। অভিযানের খবর পেয়ে মালিক কাজল পালিয়েছে।
কাজলের কারখানার ব্যবস্থাপক মফিজুর রহমানকে আটক করা হয়েছে। অতিতে ভেজাল সার ও কীটনাশসহ কাজল একাধিকবার ধরা পড়ে জেল হাজতে গেছে। কিন্তু পরে জামিনে বেরিয়ে এসে স্থান বদল করে নতুন কারখানা গড়ে আবার তার অপকর্মে লিপ্ত হয়। আগে সদর উপজেলার রাঘবদাইড়, ছোট ব্রিজ এলাকায় তার কারখানা ছিল।