একাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আর কোন ঝামেলায় যেতে চান না জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেছে, ‘যা হবার হয়ে গেছে, এখন একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হোক। সরকারকে চাপ দিয়ে নয়, যুক্তি দিয়ে বোঝাক তারা’। রোববার বিকেলে রাজধানীর হোটেল আমারি-তে বিদেশি কূটনীতিকদের সাথে বৈঠক শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় এই মন্তব্য করেছেন তিনি।
কামাল হোসেন বৈঠকের ব্যাপারে বলেন, ‘যারা এসেছিল তারা বন্ধুরাষ্ট্রের। তারা আমাদের বন্ধু, জনগণের বন্ধু এবং সরকারেরও বন্ধু। আমরা নির্বাচনের অনিয়মের বিষয়গুলো তাদের কাছে তুলে ধরেছি। তারা এ নিয়ে কোনো বিতর্ক করেনি। আমরা যা দেখেছি, তারাও তাই দেখেছে। তারা আমাদের কথা শুনেছেন এবং বলেছেন—গণতন্ত্রের চর্চা অব্যাহত থাক তারাও সেটা চান। তারাও চান এদেশের মানুষ স্বস্তিতে, শান্তিতে থাক।’
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের পর কূটনীতিকদের সাথে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এটিই প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক। এই বৈঠকে নির্বাচন সম্পর্কে নিজেদের মূল্যায়ন, অভিজ্ঞতা এবং অভিযোগের খুটিনাটি তুলে ধরা হয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার, ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত, সুইডেনের রাস্ট্রদূত, স্পেনের রাষ্ট্রদূত, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত, সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত, পাকিস্তানের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার, কানাডা, জার্মানি, তুরস্ক ও মরক্কোর উপরাষ্ট্রদূত, রাশিয়া, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার পলিটিক্যাল ডেস্কের ফার্স্ট সেক্রেটারি এবং জাতিসংঘের প্রতিনিধি।
এছাড়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ড. কামাল হোসেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ড. মঈন খান, গয়েশ্বরচন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, মোস্তফা মহসিন মন্টু, মাহমুদুর রহমান মান্না, আসাদুজ্জামান রিপন, তাবিথ আউয়াল, আফরোজা আব্বাস ও গোলাম মওলা রনি।