নাওয়া-খাওয়ার মতো যৌনতাও মানুষের স্বাভাবিক চাহিদা। সম্মতির ভিত্তিতে কারও সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়া অপরাধ নয়।
কিন্তু যদি উলটোটা হয়, সেক্ষেত্রে ধর্ষণের দায়ে পড়তে হয়। তা বলে ছাগল কি কখনও মানুষকে তার সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হওয়ার অনুমতি দিতে পারে! শুনতে আজগুবি মনে হলেও, এমনটিই দাবি করেছে আফ্রিকার মালাউয়িতে ছাগলকে ধর্ষণকারী এক যুবক।
নারীদের পোশাক নাকি পুরুষদের বিকৃত যৌন তাড়না? ধর্ষণের মতো অপরাধ কেন বাড়ছে, তা নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। কিন্তু ঘটনা হল, মানুষের যৌন লালসার শিকার হচ্ছে অবলা প্রাণীরাও! একটি ছাগলের সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হওয়ার পর অভিযুক্ত যা বলেছে, তা শুনলে তাজ্জব হয়ে যাবেন। আফ্রিকা মহাদেশের ছোট্ট দেশ মালাউয়ি। দিন কয়েক আগে সেখানকার এক বাসিন্দার পোষা ছাগলটি আচমকাই বেপাত্তা হয়ে যায়। তিনি ভেবেছিলেন, ছাগলটিকে হয়তো কেউ চুরি করেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের নিজের আশঙ্কার কথা জানিয়েও ছিলেন তিনি। ওই ব্যক্তির দাবি, প্রতিবেশীদের নিয়ে তিনি যখন ছাগলটিকে খুঁজতে বেরোন, তখন দেখেন, অবলা প্রাণীটির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছে বছর একুশের এক যুবক! সঙ্গে সঙ্গে থানায় খবর দেওয়া হয়।
অভিযুক্ত কেনেডি কাম্বানিকে হাতেনাতে ধরে ফেলে পুলিশ। ছাগলকে ধর্ষণের অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
অবলা প্রাণীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক বিকৃত যৌনতারই প্রকাশ, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু হাতেনাতে ধরা পড়েও নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে মরিয়া অভিযুক্ত কেনেডি কাম্বানি। জানা গেছে, পুলিশকে ওই যুবক নাকি বলেছে, স্রেফ নিজের বিকৃত যৌন লালসা মেটাতে ছাগলের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়নি সে। অবলা প্রাণীটি নাকি তাকে যৌনতার অনুমতি দিয়েছিল!