ঢাকা:আবার থ্রিজি ও ফোরজি সেবা সচল করেছে মোবাইল অপারেটরগুলো। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা ২১ মিনিট থেকে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা ফিরতে শুরু করে। আজ সকালে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি মোবাইল অপারেটরগুলোকে থ্রিজি ফোরজি চালুর নির্দেশ দেওয়ার পর তারা এ সুবিধা চালু করে। মোবাইল অপারেটরদের সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বর্তমানে মোবাইল ফোনে থ্রিজি ও ফোরজি সেবা পাওয়া যাচ্ছে। এ সেবা বন্ধ থাকায় মোবাইল থেকে ইন্টারনেটে ঢোকা যায়নি। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ২৭ ঘণ্টা বন্ধ রেখে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা চালু করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আবারও তা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।
রোববার ভোট শেষ হওয়ার দুই ঘণ্টা পর সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় বিটিআরসির নির্দেশনা পেয়ে মোবাইল ফোন অপারেটররা সব ধরনের মোবাইল ইন্টারনেট চালু করে। এরপর রাত ৯টার পর আবার ফোর জি ও থ্রি জি ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ভোটের আগের দিন শনিবার রাত ১১টার দিকে মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে নির্দেশনা পাঠিয়ে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করেছিল বিটিআরসি। শনিবার দুপুর থেকে ফোর-জি ও থ্রি-জি সেবা বন্ধ করে টু-জি সেবা চালু রাখার নির্দেশনা দিয়েছিল বিটিআরসি। কিন্তু শনিবার রাত ১১টার পর থেকে ভোটের দিন মধ্যরাত পর্যন্ত টু-জি সেবাও বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া বিটিআরসির পক্ষ থেকে। ফলে ভোটের আগের দিন মধ্যরাত থেকে ভোটের দিন মধ্যরাত পর্যন্ত মোবাইলে ইন্টারনেট সেবা পায়নি গ্রাহকেরা। এরপর রোববার সন্ধ্যা ৬টায় আবার ইন্টারনেট সেবা চালু হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে প্রায় ১০ ঘণ্টা মোবাইলে ফোর-জি ও থ্রি-জি সেবা বন্ধ রেখেছিল বিটিআরসি। শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত কিছু সময় ফোর-জি ও থ্রি-জি সেবা পেয়েছিলেন গ্রাহকেরা।
প্রসঙ্গত, মোবাইলে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকলেও ব্রডব্যান্ডে ইন্টারনেটে স্বাভাবিক সেবা পেয়েছেন গ্রাহকেরা।
আসন্ন সংসদ নির্বাচনের ভোটের আগে ‘অপপ্রচার’ ঠেকাতে ১৩ ডিসেম্বর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ইন্টারনেটের গতি কমানোর প্রস্তাব দেয় পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। ওই বৈঠকে সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশন আয়োজিত আইন-শৃঙ্খলাবিষয়ক সমন্বয়সভায় এই পরামর্শ দেওয়া হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে বৈঠকে সব বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, সব রিটার্নিং অফিসার, জেলা পুলিশ সুপার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশ নেন।