কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) আসনের বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের মোকাম গ্রামে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুইপক্ষের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াসহ ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এসময় বিএনপি দলীয় ধানের শীষের প্রার্থী অধ্যক্ষ মো. ইউনুছের একটি গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় অধ্যক্ষ ইউনুছসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে দুইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিএনপির প্রার্থী অধ্যক্ষ ইউনুছ দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে মোকাম ইউনিয়নের মোকাম গ্রামে গণসংযোগ করতে যান। একপর্যায়ে ওই গ্রামে স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উঠান বৈঠক করার উদ্যোগ নেয়। এসময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতৃবৃন্দ নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু এমপি ওই গ্রামের একই স্থানে উঠান বৈঠক করার প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে বিএনপি নেতাকর্মীদের জানানো হয়।
এ নিয়ে দুইপক্ষে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে এবং দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় অধ্যক্ষ ইউনুছের ব্যবহৃত একটি মাইক্রো ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষে অধ্যক্ষ ইউনুছ, তার ছেলে মেহেদী হাসান সুমন, বুড়িচং উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সুয়া মিয়া মেম্বার, যুবদল নেতা আমিনুল ইসলাম, রাকিব হাসান, অধ্যক্ষ ইউনুছের গাড়ির চালক আলমগীর হোসেনসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। এ ঘটনায় যুবলীগের স্থানীয় কর্মী বিপ্লব, মেহেদী, মারুফ, শাহ আলম, জিলানীসহ পাঁচজন আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয় ও বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
মোকাম ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাসুদ রানা জানান, ওই গ্রামে আমাদের পূর্ব নির্ধারিত উঠান বৈঠকের কর্মসূচি ছিল, কিন্তু বিএনপি একই স্থানে একই সময়ে উঠান বৈঠক করার চেষ্টা করলে এ ঘটনা ঘটে। ওই স্থানে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে উঠান বৈঠকের কোনো কর্মসূচি ছিল না দাবি করে অধ্যক্ষ ইউনুছ বলেন, আমরা উঠান বৈঠক করতে গেলে যুবলীগ-ছাত্রলীগ হামলা চালিয়ে নেতাকর্মীদের আহত করে।
বুড়িচং থানার ওসি আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অধ্যক্ষ ইউনুছকে কুমিল্লায় নিয়ে আসে। বিকাল ৫টা পর্যন্ত এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।