অবশেষে লিন্ড ক্যাফে থেকে মুক্ত সব জিম্মি। ১৬ ঘণ্টা পর পুলিশি অভিযানের মাধ্যমে জিম্মি দশার সমাপ্তি ঘটে। অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ক্যাফেতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বন্দুকবাজকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলিতে আহত হয়েছেন চারজন জিম্মি। জঙ্গির সঙ্গে পুলিশের বেশ কিছুক্ষণ গুলির লড়াই চলে। ভারি অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সিডনিতে ক্যাফেতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় ভেতর থেকে উচ্চ শব্দ শোনা গেছে। কয়েকজন জিম্মিকে ভবনের ভেতর থেকে স্ট্রেচারে করে বের করতে দেখা গেছে। কয়েকজন নিরাপদেও বের হয়েছেন। শনাক্ত করা গেছে গানম্যানকে। ওই ক্যাফেতেই ৪০ জনের মতো বেসামরিক নাগরিককে জিম্মি করে রেখেছিল বন্দুকধারী। এদিকে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন গণমাধ্যম ও কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো বন্দুকধারীর পরিচয় প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত খবর অনুযায়ী ৪৯ বছরের শেখ মন হারোন মনিস আইসিসের একজন স্বঘোষিত ধর্মগুরু। যার দাবি ছিল আইসিসের পতাকা পেলেই মুক্তি দেওয়া হবে এক জিম্মিকে।
অবশেষে অস্ট্রেলিয়ায় জিম্মি সংকটের অবসান
বিবিসি সূত্রে জানা গেছে ১০ কর্মচারী ও ৩০ জন কাস্টমার ওই ক্যাফেতে জিম্মি ছিলেন। ইনফোসিস সূত্রে জানানো হয়েছে ক্যাফেতে বন্দি ভারতীয় তাদেরই কর্মী। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবটের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছেন বন্দুকবাজ জঙ্গি। তার সঙ্গেই দাবি করে একটি আইসিস পতাকা তার কাছে পৌঁছে দেওয়ার। একজন রেডিও জকির সঙ্গে কথা বলে নিজের ইচ্ছা প্রকাশ করে ছিল ওই বন্দুকবাজ।
অন্যদিকে, নিউ সাউথওয়েলসের পুলিশ কমিশনার ক্যাথরিন বার্ন সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে ছিলেন শান্তিপূর্ণভাবে সমগ্র বিষয়টির সমাধান করতে চান তাঁরা। জিম্মিদের নিরাপত্তা তাঁদের প্রধান লক্ষ্য।
অবশেষে অস্ট্রেলিয়ায় জিম্মি সংকটের অবসান
হারোন মনিস সম্পর্কে জানা যায়, ১৯৯৬ সালে ইরান ছেড়ে অস্ট্রেলিয়ায় আসে সে। এক স্ত্রীকে হত্যা করা ছাড়াও, সাতজন নারীর ওপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। আল-কায়েদার বিরুদ্ধে অভিযানের সময় অস্ট্রেলিয়া সেনাবাহিনী পাঠানোর বিরোধিতা করেছিল এই মনিস। তখন নিজেকে মৌলভী বলে ঘোষণা করেছিল সে। সে আসলে একজন মানসিক বিকারগ্রস্ত বলে জানা গেছে। আজ সোমবার বিবিসির অনলাইনের খবরে জানানো হয়, ইরানের এই শরণার্থী রাজনৈতিক আশ্রয়ে অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করছে। তার সাবেক এক আইনজীবী ওই ব্যক্তিকে একঘরে ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন।