জাল ভোট দিলেও আসল ভোটার ফের ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন। এ ক্ষেত্রে কোনো ভোটারের ভোট আগে কেউ প্রদান করলে তিনি প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে আবারও ব্যালট পেপার চাইতে পারবেন।
এবারে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের দিন কোনো ভোটার কেন্দ্রে গিয়ে যদি দেখেন, কেউ তার ভোট দিয়ে দিয়েছেন, তাহলে ভোটারকে হতাশ না হতে পরামর্শ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, আইনে এর সমাধান আছে সেইভাবে নির্বাচনী কর্মকর্তারা কাজ করবেন। নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনের দিন গণমাধ্যমে দেখতে পাই- কোনো একজন ভোটার বলছেন, আমার ভোটটা দেওয়া হয়ে গেছে। অথচ এটা কোনোভাবেই হওয়ার কথা নয়। নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তারা ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করলে একজনের ভোট আরেকজনের দেওয়ার কথা নয়। তারপরও এরকম ঘটনা ঘটে গেলে আইনে এর প্রতিকার রাখা আছে। রফিকুল ইসলাম বলেন, কারও ভোট দেওয়া হয়ে গেলেও প্রকৃত ভোটারের ভোট দেওয়ার বিধান রাখা আছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আইনে। যদি প্রিসাইডিং অফিসার সেটিসফায়েড হন যে, অভিযোগকারী ভোটার নিজের ভোট নিজে দেননি, তিনি সত্যিকার অর্থে ভোটার, তার ভোটটা অন্য কেউ দিয়ে গেছে- জাস্ট অ্যালাউ হিম উইদাউট এনি কোয়েশ্চেন। এটা করা হলে নির্বাচনকে কেউ প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারবে না।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন পরিচালনা ম্যানুয়েল একাদশ অধ্যায়-ভোটদান প্রক্রিয়া ও পদ্ধতিতে ‘টেন্ডার্ড ব্যালট পেপার’ বিষয়ে বলা হয়েছে- “কোনো ব্যক্তি ব্যালটের পেপারের জন্য আবেদন করে অবগত হন যে, অন্য কোনো ব্যক্তি ইতিপূর্বে নিজেকে উক্ত ভোটার হিসেবে ঘোষণা করে আবেদনকারীর নামে ভোট প্রদান করেছেন, তাহলে তিনি অন্য যে কোনো ভোটারের মতো একই পদ্ধতিতে ব্যালট পেপার পাবেন। ” “এ ব্যালট পেপার ‘টেন্ডার্ড ব্যালট পেপার’ নামে অভিহিত হবে। টেন্ডার্ড ব্যালট পেপার ব্যালট বক্সে না ফেলে প্রিসাইডিং অফিসারকে দিতে হবে। প্রিসাইডিং অফিসার উক্ত ব্যক্তির নাম ও ভোটার ক্রমিক নং ফরম-১৪-তে লিপিবদ্ধ করবেন এবং তাতে ভোটারের স্বাক্ষর বা টিপসই গ্রহণ করবেন। অতঃপর চিহ্নিত ব্যালট পেপার প্যাকেট-৬ এ রেখে দেবেন। উল্লেখ্য যে টেন্ডার্ড ব্যালট পেপার গণনা করা যাবে না। ”