একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রায় দুই সপ্তাহ বাকি থাকলেও এখনো তৈরি হয়নি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। সৃষ্টি হয়নি নির্বাচনী পরিবেশ। সার্বিক পরিস্থিতিও সঙ্ঘাতপূর্ণ। বিএনপির প্রার্থী সমর্থকেরা প্রচারণায় নামলেই হামলার শিকার হচ্ছেন। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় বিএনপির শীর্ষ ও কেন্দ্রীয় নেতাদের ওপর হামলা হয়েছে প্রকাশ্যে। ধানের শীষের পোস্টার লাগাতে গেলেই বাধা দিচ্ছে সরকারি দলের লোকজন। প্রচারণার মাইক কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলা হচ্ছে। এখনো ধরপাকড় বন্ধ হয়নি। নেতাকর্মীদের ওপর নিপীড়ন এবং ধরপাকড় বন্ধের জন্য নির্বাচন কমিশনে একাধিকবার আবেদনের পরও প্রতিকার পাচ্ছে না বিরোধী দলগুলো। এ ব্যাপারে পুলিশের প্রধান আইজিপির সাথেও বৈঠক করেছে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল। কিন্তু ধরপাকড় বন্ধে তারা কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে বিএনপির দাবি।
বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনগুলোর কর্মীদের বাধা-বিপত্তি, হামলার ঘটনা ঘটছে। এতে করে দ্বিমুখী আতঙ্ক ও ভীতিকর অবস্থা তৈরি হয়েছে। সময় যতই গড়াচ্ছে দেশজুড়ে নির্বাচনী সহিংসতায় উদ্বেগ ততই ছড়িয়ে পড়ছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকেরা এই সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কোনো কোনো এলাকায় পুলিশের আচরণ নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। এমনিতেই পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের বিএনপির অভিযোগ মারাত্মক। গাজীপুরে ধানের শীষের প্রার্থী ফজলুল হক মিলন, সাতক্ষীরায় গাজী নজরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নেত্রকোনা-২ আসনের প্রার্থী ডা: আনোয়ারুল হকের নির্বাচনী প্রচার ও তার বাসা এবং ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে হামলা করা হয়েছে। অর্থাৎ নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে নানামুখী তৎপরতাও দেখা যাচ্ছে। রাজনীতিবিদ, ভোটার ও সাধারণ মানুষের মাঝে শঙ্কা ও ভয়ভীতিও বাসা বাঁধছে। ভোট হবে কি না এই অনিশ্চয়তা জোরালো হচ্ছে।