তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম. আল্লামা সিদ্দীকী আজ দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী প্রফেসর ড. ইমিনে আলপ মেসের সঙ্গে এক আনুষ্ঠানিক আলোচনায় মিলিত হন।
এসময় তুরস্কের ওষুধ প্রশাসনের প্রধান ড. হাক্কি গুরসুজ মন্ত্রী এবং দূতাবাসের প্রথম সচিব সবুজ আহমেদ রাষ্ট্রদূতকে আলোচনায় সহায়তা করেন।
উক্ত বৈঠকের মূল লক্ষ্য ছিলো স্বাস্থ্যসেবার বিভিন্ন খাতে দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের মাঝে বিদ্যমান সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ ও তুরস্ক উভয়ই স্বাস্থ্যসেবার বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। ওষুধশিল্প এবং মেডিকেল যন্ত্রপাতিশিল্পে যথাক্রমে বাংলাদেশ ও তুরস্কের অগ্রগতি প্রশংসনীয় এবং উৎসাহব্যাঞ্জক।
দু’পক্ষ আলোচনাক্রমে একমত হন যে, স্বাস্থ্যসেবা খাতে অর্জিত ইতিবাচক অভিজ্ঞতা বিনিময়, জেনেরিক ড্রাগ ও মেডিকেল ডিভাইস আমদানী-রপ্তানী, বায়োটেক গবেষণার বিষয়ে সহযোগিতার প্রচুর সুযোগ দুটি দেশের মাঝে বিদ্যমান।
এছাড়া, স্বাস্থ্য পর্যটন হতে পারে সহযোগিতার এক নতুন অধ্যায়। রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে বাংলাদেশের দ্রুত অগ্রসরমান ওষুধ শিল্পের বিভিন্ন উজ্জ্বল দিক তুলে ধরেন। তিনি আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চ ২০১৯-এ একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিনিধিদলের প্রধান হিসাবে বাংলাদেশ সফরের জন্য তুর্কী প্রতিমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, উক্ত প্রতিনিধিদলে তুরস্কের সরকারি ও বেসরকারি খাতের অংশীজনেরা অন্তর্ভূক্ত থাকবেন। প্রতিমন্ত্রী প্রস্তাবিত সময়ে বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, তুরস্কের নিজস্ব মেডিকেল ডিভাইস শিল্প এখন অনেক উন্নত। এছাড়া, দেশটি বছরে ৪ থেকে ৫ বিলিয়ন ডলারের ওষুধ আমদানী করে থাকে। বর্তমানে বাংলাদেশের ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যালস তুরস্কে একটি ভ্যাকসিন রপ্তানী করছে। পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে এ রপ্তানী আরো অনেকাংশে বৃদ্ধি করা সম্ভব।