সিলেটে ছয়টি সংসদীয় আসনে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ৬৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। এঁদের মধ্যে ১৫ জনের মনোনয়নপত্র বাছাইকালে বাতিল হয়েছে। আপাতত নির্বাচনি লড়াইয়ে ৫১ জন টিকে আছেন। কিন্তু তাঁদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী নেই একজনও।
আগামী নির্বাচনে লড়তে সিলেটের বিভিন্ন আসনে ৯ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। কিন্তু তাঁদের সবার মনোনয়নপত্রই বাতিল হয়েছে।
সিলেট-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন মুহিবুর রহমান, এনামুল হক সর্দার ও আব্দুর রব। মনোনয়নপত্রের সাথে দাখিলকৃত ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরে গড়মিল থাকায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়।
সিলেট-৩ আসনে অ্যাডভোকেট আবদুল ওদুদ, জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়ার স্বতন্ত্র থেকে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। মনোনয়নপত্রের সাথে দাখিলকৃত ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরে গড়মিল থাকায় তাদের মনোনয়নপত্রও বাতিল হয়।
সিলেট-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন ফয়জুল মুনীর চৌধুরী ও আহমদ আল ওয়ালী। কিন্তু হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় ফয়জুলের এবং ভোটারের স্বাক্ষরে গড়মিল ও ৪৩ হাজার ৪১৮ টাকা খেলাপির দায়ে আহমদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।
সিলেট-৬ আসনে স্বতন্ত্র থেকে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন জাতীয় পার্টির নেতা সেলিম উদ্দিন। তিনি বর্তমানে সিলেট-৫ আসনের সাংসদ। সে আসন থেকে সেলিম জাতীয় পার্টির মনোনয়নে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তবে দলীয় ও স্বতন্ত্র উভয় ক্ষেত্রেই তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকার কারণে। এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়ার মনোনয়নপত্রও বাতিল হয়েছে। মনোনয়নপত্রের সাথে দাখিলকৃত ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরে গড়মিল থাকায় তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়।
অবশ্য এসব স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন। সেখানে আইন অনুসারে সবকিছু ঠিক থাকলে তাদের প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করবে কমিশন-এমনটাই জানিয়েছেন সিলেট জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী এমদাদুল ইসলাম।