একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘তারুণ্যের ইশতেহার’ নামে একটি প্রস্তাবনা নিয়ে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কার্যালয়ে গেছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের দুটি প্রতিনিধি দল সোমবার বিকেলে এই প্রস্তাব পৌঁছে দেয়।
বিকেল ৩টার পরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যায় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক ফারুক হাসানের নেতৃত্বে ১৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল। এ সময় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর হাতে তাদের প্রত্যাশিত ‘তারুণ্যের ইশতেহার ভাবনা ২০১৮’ তুলে দেন।
সংগঠনের যুগ্ম-আহ্বায়ক ফারুক হাসান বলেন, তারুণ্যের ইশতেহার আমরা সব রাজনৈতিক দলের কাছে হস্তান্তর করব।
বিএনপির কার্যালয়ে তারুণ্যের ইশতেহার দেওয়ার পর সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতাকর্মীরা পুরানা পল্টনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কার্যালয়ে গিয়ে তাদের ইশতেহার দেন।
এদিকে ,সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান ও নূরুল হক নূরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বিকেল ৪টার দিকে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গিয়ে তারুণ্যের ইশতেহার দেন।
যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান বলেন, তারা নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে তাদের তারুণ্যের ইশতেহার তুলে ধরবেন।
তারুণ্যের ইশতেহারে থাকা উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হলো :
১। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির চাকরিতে কোটার যৌক্তিক সংস্কার আনতে হবে।
২। চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করতে হবে। সবার জন্য অভিন্ন বয়সসীমা করতে হবে।
৩। চাকরির আবেদনের ফি সম্পূর্ণ ফ্রি করতে হবে।
৪। শিক্ষায় জিডিপির ৫ ভাগ বা জাতীয় বার্ষিক বাজেটের ২০ ভাগ বরাদ্দ দিতে হিবে।
৫। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নিতে হবে।
৬। প্রশ্ন ফাঁসবিরোধী সেল গঠন করতে হবে।
৭। বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্যকালীন কোর্স বন্ধ করতে হবে।
৮। প্রতিবছর ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হবে।
৯। বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট বাজেটের ১০ ভাগ গবেষণায় দিতে হবে। যার ৬ ভাগ শিক্ষকদের জন্য এবং ৪ ভাগ হবে ছাত্রদের জন্য।
১০। শিক্ষক নিয়োগে ৮০ ভাগ নম্বর লিখিত পরীক্ষায় এবং ২০ ভাগ নম্বর মৌখিক পরীক্ষায় রাখতে হবে।