সিলেট প্রতিনিধি :: সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ) নির্বাচনী আসনে আওয়ামী লীগের মনোয়ন প্রত্যাশী ছিলেন বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবুল কাশেম পল্লব।
তিনি এই আসনে মনোনয়নপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের বিরোধী বলয়ের লোক হিসেবে পরিচিত। তার অনুসারীরা এই আসনে নুরুল ইসলাম নাহিদ ছাড়া অন্য যে কাউকে মনোনয়ন দেয়ার দাবি জানিয়ে আসছিল। মূলত এই বিরোধের জের ধরে মনোনয়নপ্রাপ্ত সংসদ সদস্য প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ।
রবিবার দুপুরে বিয়ানীবাজার পৌরশহরে অনুষ্ঠিত পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচিতে বাধা দেয়া পুলিশ। এ সময় পুলিশ সদস্যদের সাথে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ মৃদু লাঠিচার্জ করে।
এসম্পর্কে আবুল কাশেম পল্লব জানান, ‘বিজয়ের মাসে আমরা বিক্ষোভ মিছিল ও সভা করার প্রস্তুতি নেই। শনিবার এ কর্মসূচির প্রচারণাকালে পুলিশ আমাদের মাইক জব্দ করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে রবিবার দুপুরে আমরা পৌরশহরের দক্ষিণ বাজার মিছিল শুরু করি। মিছিলটি পৌরশহর প্রদক্ষিণকালে পুলিশ কয়েকদফা নির্বাচনী আচরণের দোহাই দিয়ে আমাদের বাধা দেয়। পরে আমরা সমাবেশ করতে চাইলেও পুলিশ বাঁধা দিয়ে আমাদের মাইকের সংযোগ ছিঁড়ে ফেলে এবং লাঠিচার্জ করে দলীয় কর্মীদের আহত করে।’
এ সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৪ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। মিছিলে আবুল কাশেম পল্লব ছাড়াও ইউপি চেয়ারম্যান গৌছ উদ্দিন, যুবলীগ নেতা অজিত আচার্য প্রমুখ নেতৃত্ব দেন।
বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অবণী শংকর কর বলেন, ‘অনুমতি ছাড়া আমরা তাদের মিছিল করতে নিষেধ করি। এ ধরণের মিছিল-শোডাউন নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন।’