মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জ-২ আসনের বিএনপি মনোনিত প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য মঈনুল ইসলাম খান শান্ত ও সিংগাইর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবিদুর রহমান রোমানের মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়ে গেছে। দলীয় মনোনয়ন ফরমে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্বাক্ষরে অমিল থাকায় মঈনুল ইসলাম খান শান্তর মনোনয়ন পত্র এবং উপজেলা পরিষদ থেকে পদত্যাগ না করায় আবিদুর রহমান রোমানের মনোনয়ন পত্রটি বাতিল করেছে জেলা রির্টানিং অফিসার। মানিকগঞ্জের তিনটি আসনে জমাকৃত ২৫টি মনোনয়ন পত্রের মধ্যে বিএনপি মনোনীত ৪ জন ও জাতীয় পার্টির ১জন সহ মোট ৮ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়ে গেছে। বাকি ১৭ জন প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র বৈধ হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা রির্টানিং অফিসার এস এম ফেরদৌস। মানিকগঞ্জ-১ আসনে বিএনপি থেকে খোন্দকার আব্দুল হামিদ ডাবলু, এসএ জিন্নাহ কবীর ও তোজাম্মেল হক তোজাকে দলীয় মনোনয়পত্র দেয়া হয়। বাছাইয়ে কাগজপত্রে ক্রটির কারণে তোজাম্মেল হক তোজার মনোনয়নপত্রটি বালিত হয়ে যায়। বিএনপি মনোনীত বাকি দুই প্রার্থী এডভোকেট খোন্দকার আব্দুল হামিদ ডাবলু ও এস এ কবীর জিন্নাহর মনোনয়ন পত্র বৈধ হয়েছে।
এ আসনে মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়েছে জাকের পার্টির আতোয়ার রহমান। এখানে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এএম নাইমুর রহমান দুর্জয়ের মনোনয়ন পত্র বৈধ হয়েছে। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী এবিএম আনোয়ারুল হক ও মুসলীম লীগের আসাদের মনোনয় পত্র বৈধ ঘোষনা করা হয়। এছাড়া ব্যাংক ঝ্ণ খেলাফির কারনে মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়েছে জেলা জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য এস এম আব্দুল মান্নানের। এছাড়া কাগজ পত্রে ক্রুটি থাকায় মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশারফ হোসেন ও মাসুদ মিয়ার। এ আসনে সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম ও বিকল্পধারার গোলাম সারোয়ার মিলনের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। মানিকগঞ্জ-৩ আসনে মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়েছে বিএনপি প্রার্থী আতাউর রহমান আতার। তিনি উপজেলা পরিষদ থেকে পদত্যাগ না করায় তার মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়ে গেছে। এখানে বিএনপি মনোনিত মুল প্রার্থী জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতার মনোনয়ন পত্রটি বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে স্বাস্থপ্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন, গণফোরানের মফিজুল ইসলাম কামাল, জাতীয় পার্টির জহিরুল ইসলাম রুবেল ও ইসলামী আন্দোলনের ইব্রাহিম হোসেনের।