হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জ-১ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মনোনীত এমপি প্রার্থী সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়ার ছেলে ড. রেজা কিবরিয়ার ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এরমধ্যে রেজা কিবরিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিলের কারণ দেখানো হয়েছে, একটি বেসরকারি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের ঋণ খেলাপী হিসেবে। ওই কার্ডের বিপরীতে তার ঋণের পরিমান সাড়ে ৫ হাজার টাকা। তবে এটি কার্ডের বাৎসরিক নবায়ন ফি।
আজ রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র বাছাই কমিটির এক সভায় রেজা কিবরিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিলের ঘোষণা দিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, রেজা কিবরিয়া সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের বিপরীতে ঋণ পরিশোধ করেন নি। তবে ঋণের পরিমাণ কত তাও উল্লেখ করেননি রিটার্নিং কর্মকর্তা।
এ ব্যাপারে ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, তিনি সিটি ব্যাংক থেকে একটি ক্রেডিট কার্ড নিয়েছিলেন। প্রতিবছর সাড়ে ৫ হাজার টাকা দিয়ে কার্ডটি নবায়ন করতে হয়।
তিনি বিদেশে থাকায় এবার নবায়নের চিঠিটি পাননি। ইতিমধ্যে এই কার্ডের বিপরীতে গতকালই ৬ হাজার টাকা জমা দিয়েছেন। তিনি বলেন, এটি জটিল কিছু না। আশা করি ঠিক হয়ে যাবে। আর কোন ঋণ আছে কি না জানতে চাইলে, সাবেক অর্থমন্ত্রীপূত্র রেজা কিবরিয়া বলেন, আমি কোন ব্যবসা করি না। তাই কোন ঋণও নেয়া হয়নি কখনো। আপীলে প্রার্থীতা ফিরে পাবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে একই আসন থেকে আরো ৫ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
হলফনামায় স্বাক্ষর অসম্পূর্ণ থাকায় এমপি কেয়া চৌধুরীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এ আসনে অন্য যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে তারা হলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক মো. আবদুল হান্নান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আবু হানিফা আহমদ হোসেন, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের মোহাম্মদ বদরুর রেজা ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের জুবায়ের আহমেদ।
এ ব্যাপারে কেয়া চৌধুরী জানান, নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী কোন প্রার্থীদের সমর্থনে ৪ হাজার ভোটারের স্বাক্ষর দেয়ার প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে আমার মনোনয়নে একটি স্বাক্ষর বাদ পড়েছে। তবে নির্বাচন কমিশনের নিয়মেই আছে কোন জনপ্রতিনিধি যদি মনোনয়নপত্র জমা দেন তাহলে এ স্বাক্ষরের প্রয়োজন হবে না। তারপরও জেলা রিটার্নিং অফিসার এটাকে সাময়িক ত্রুটি সনাক্ত করে আপিলের জন্য বলে দিয়েছেন। আমি আপিলে যাব এবং আমার মনোনয়ন অবশ্যই বৈধ প্রমাণ করব।