ঢাকা: বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে ও বিদেশে অর্থ পাচার নাসির গ্রুপের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন বিশ্বাসসহ ১০ কর্মকর্তাকে আজ জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও উপপরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম রফিকুল ইসলাম সোমবার বেলা দুইটায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে তাদের তলবি নোটিশ পাঠিয়েছেন। ১১ ডিসেম্বর এই নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশে নাসির গ্রুপের চেয়ারম্যানের ব্যাংক ও আয়কর নথিও সরবরাহের জন্য বলা হয়েছে।
আরো যাদের নোটিশ পাঠানো হয়েছে তারা হলেন নাসির গ্রুপের চেয়ারম্যানের স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানের পরিচালক তাসলিমা সুলতানা, জিএম (আমদানি) আলফাজ উদ্দিন, জিএম (কমার্সিয়াল) মো. আবু সাইদ, জিএম (মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস) শামীম আহম্মেদ, জিএম (প্রশাসন) আব্দুস সোবহান, জিএম (ফাইন্যান্স ও হিসাব) মো. সিদ্দিকুর রহমান, জিএম (রপ্তানি) এ কে এম শহিদুজ্জামান, এজিএম (ক্রয়) মো. ওবায়দুল ইসলাম এবং ক্যাশিয়ার মো. শামীম।
দুদক সূত্র জানায়, নাসির গ্রুপের বিরুদ্ধে আমদানি করা পণ্যের প্রতিটি এলসির বিপরীতে বিপুল পরিমাণ মার্কিন ডলার হুন্ডির মাধ্যমে পাচার, বিভিন্ন কায়দায় কয়েক শ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে. দীর্ঘদিন ধরে তাদের প্রতিটি ইন্ডাস্ট্রিজের নামে আমদানি করা পণ্যের এলসির বিপরীতে বিপুল পরিমাণ মার্কিন ডলার হুন্ডির মাধ্যমে পাচার করা হচ্ছে। পণ্যের প্রকৃত মূল্যের ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ ব্যাংকের মাধ্যমে এলসি খোলা হয়। আর বাকি ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার জন্য অবৈধভাবে হুন্ডির মাধ্যম বিদেশে পাঠানো হয়।
এ ছাড়া এনবিআরের কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে বিভিন্ন পণ্যের এইচ এস কোড পরিবর্তন করে শুল্ক ফাঁকি দেয়া এবং চট্টগ্রাম, বেনাপোল, টাঙ্গাইল আইসিডির কমিশনার ও এনবিআর কর্মকর্তাদের প্রতি মাসে মোটা অঙ্কের টাকা বরাদ্দ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে নাসির গ্রুপের মালিকের বিরুদ্ধে।