হাসানুজ্জামান হাসান,লালমনিরহাট: নিজেদের মোবাইলে যথাসময়ে চলে যাবে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর ভাতাভোগীদের ভাতার টাকার তথ্য।
পাশের পে-পয়েন্টে গিয়ে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ইচ্ছামত টাকা তুলতে ও সঞ্চয় করতেও পারবেন ভাতাভোগীরা।
বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) সকালে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার পলাশী ইউনিয়ন পরিষদের সচেতনতামূলক সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
সচেতনতামূলক সভার আয়োজন করে আদিতমারী উপজেলা সমাজ সেবা কার্যালয়।
পলাশী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শওকত আলীর সভাপতিত্বে মূল বিষয় উপস্থাপন করেন উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার শরিফুল ইসলাম।
জানা যায়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর ভাতাভোগীদের প্রতি তিনমাস পরপর নির্দিষ্ট ব্যাংকে গিয়ে বেশ কিছু ব্যাংকিং আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে টাকা তুলতে হয়। এক্ষেত্রে তাদেরকে ব্যাংকে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে তুলতে হয় ভাতার টাকা। আবার অধিকাংশ ব্যাংক দ্বিতীয় বা তৃতীয় তলা ভবনে। সেখানে বয়স্ক বা প্রতিবন্ধীদের ওপরে উঠে ভাতার টাকা উত্তোলন করা অনেকটাই যুদ্ধ করার মতো।
অনেক সময় ব্যাংক থেকে ভাতাভোগীদের ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার পথ মাড়িয়ে ব্যাংকে আসতে হয়, যা খুবই কষ্টকর ও পরিবহন খরচ গুনতে হয় তাদের। ভাতাভোগীদের কষ্ট লাঘবে সরকার অনলাইন ব্যাংকিং চালু করতে যাচ্ছে। আর ব্যাংকের বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না এসব ভাতাভোগীদের। নির্দিষ্ট সময়ে নিজের মোবাইলে পৌঁছে যাবে ভাতা উত্তোলনের তথ্য।
পাশের পে-পয়েন্টে ইচ্ছামত টাকা তুলতে ও সঞ্চয় করার সুযোগ পাবেন ভাতাভোগী ছিন্নমূল এসব জনগোষ্ঠী। পে-পয়েন্টের জন্য এজেন্ট নিয়োগ করবে সরকার।
প্রতিটি ইউনিয়নে থাকবে একাধিক পে-পয়েন্ট। দুর্গম অঞ্চলেও থাকবে পে-পয়েন্টের এজেন্ট। যাতে বাড়ির পাশে সহজভাবে এসব ছিন্নমূল মানুষ ভাতা উত্তোলনের সুযোগ পান। এজন্য ভাতাভোগীদের তথ্য ডিজিটাল ডিভাইজে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহার করে আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হবে।
আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে পে-পয়েন্টের এজেন্টরা নির্দিষ্ট ভাতা ভোগীর হাতে পৌঁছে দিবে টাকা। এজন্য প্রতিটি ইউনিয়নের ভাতাভোগীদের মাঝে সচেতনতামূলক সভা করছে সংশ্লিষ্ট সমাজ সেবা অফিস। তারা ভাতাভোগীদের বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে বিনামূল্যে হিসাব খুলে দিবে।
জেলা সমাজ সেবা অধিদফতরের উপ-পরিচালক মোশারফ হোসেন বলেন, জেলার পাঁচটি উপজেলা ও দু’টি পৌরসভায় মোট ৮৭ হাজার ১৯৫ জন মানুষ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় রয়েছেন।
যার মধ্যে- বয়স্ক ৫১ হাজার ৬২২ জন, প্রতিবন্ধী ১৪ হাজার ৫০৯ জন ও বিধবা ভাতাভোগী রয়েছেন ২১ হাজার ৬৪ জন। সব ভাতাভোগীকে আগামী বছরের শুরুর দিকে অনলাইন ব্যাংকিংয়ে মাধ্যমে ভাতা দেওয়া হবে