ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির ভেতরে জগাখিচুড়ি অবস্থা বিরাজ করছে। সব নেতা এখন মির্জা ফখরুলের কন্ট্রোলের (নিয়ন্ত্রণের) বাইরে। এ ছাড়া ঐক্যফ্রন্টও এখন ঐক্যবদ্ধ নয়।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, নিজেদের কারণে মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি বিএনপি নেতারা। এটা তাঁদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তিনি বলেন, ‘আমি যত দূর জানি, বিএনপির মধ্যে দুজন আছেন, যাঁরা কাঙ্ক্ষিত জায়গা থেকে মনোনয়ন পাননি বলে মনোনয়ন জমা দেননি। আর মির্জা আব্বাস সময়মতো মনোনয়ন জমা দেননি। নির্বাচন কমিশন তাই মনোনয়ন জমা নেয়নি। বিএনপি মনগড়া অভিযোগ করলে হবে না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন চাই। আমরা একা একা নির্বাচন করতে চাই না। বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যদি নির্বাচনে না এসে বলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচনে জয়ী হয়ে গেছে, তাহলে হবে না। অবশ্য নির্বাচনে না এলে বিএনপির নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে, সেটা তারাও জানে।’ তিনি আরও বলেন, জামায়াত ছাড়া বিএনপি অচল। জামায়াত–বিএনপি মিলে একাকার। তারা একসঙ্গে রাজনীতি করছে। ২০১৪ সালে সাধারণ মানুষের ওপর যে হামলা চালিয়েছে, তার সঙ্গে কি জামায়াত জড়িত ছিল না?
বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের হয়রানি করা হচ্ছে—এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তথ্যপ্রমাণ দিয়ে বলুন কোথায় কোথায় বিএনপির প্রার্থীকে বাধা দেওয়া হচ্ছে? তাহলে নির্বাচন কমিশন তার ব্যবস্থা নেবে। অন্ধকারে ঢিল ছোড়া বিএনপির পুরোনো অভ্যাস।’
জামায়াতের ভেতরও মুক্তিযোদ্ধা আছে, বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে মন্ত্রী কাদের বলেন, বিএনপির দৃষ্টিতে তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা। তাদের ব্যাখ্যা বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক নন, বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা তাদের মনগড়া মুক্তিযোদ্ধা।
১৪–দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টি প্রসঙ্গে কাদের বলেন, ‘আমরা জাতীয় পার্টিকে বলেছি প্রয়োজনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়ে দিতে। কিন্তু যোগ্য ও জেতার মতো প্রার্থী হতে হবে। আমরা যাঁদের যোগ্য এবং জয়ী হওয়ার মতো মনে করেছি, তাঁদের মনোনয়ন দিয়েছি।’
সংবাদ সম্মেলনের আগে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপকমিটির সঙ্গে বৈঠক করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একটি প্রতিনিধিদল। ওই বৈঠক প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইউরোপীয় পার্লামেন্ট মনে করেছে বাংলাদেশে এই মুহূর্তে নির্বাচনের সহায়ক পরিবেশ বিরাজ করছে, তাই তারা নির্বাচনের সময় পর্যবেক্ষক পাঠাবে না। এটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।