ঢাকা: স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে শুধুমাত্র ৫০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয়ই নয়। তার চেয়েও অনেক বেশি রপ্তানি করা সম্ভব বলে জানিয়েছে পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ। শনিবার দুপুরে বিজিএমইএ কনফারেন্স লাউঞ্জে ঢাকা এ্যাপারেল সামিট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে একথা জানায় সংগঠনটি।
সংগঠনের সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকা এ্যাপারেল সামিট থেকে বেরিয়ে এসেছে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে ৫০ বিলিয়নের অধিক রপ্তানি আয় করা সম্ভব। যদি প্রত্যেকেই আমরা নিজ নিজ দায়িত্ব সুষ্ঠভাবে পালন করি। এক্ষেত্রে উদ্যোক্তা, শ্রমিক, সরকার, ক্রেতা, মিডিয়া সবারই দায়িত্ব আছে। সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। যদি একটি পক্ষ দায়িত্ব পালন না করে। তাহলে আমারা পিছিয়ে যাব।
ঢাকা এ্যাপারেল সামিটের উল্লেখযোগ্য দিক তুলে ধরে তিনি বলেন, এই সামিটে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে ৮৫ এর অধিক বক্তা অংশ নিয়েছেন।
এদের মধ্যে অন্তত ২৫ টি ব্র্যান্ড এর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশের বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ১৫ শিক্ষাবিদ অংশ নেয়। সম্মেলনে চলাকালে প্রায় ১৫ হাজার দর্শনার্থী ফায়ার এক্সপো মেলা পরিদর্শন করেছেন। সম্মেলনকেন্দ্রে মোট ৯২টি স্টল ছিল।
২০২১ সালের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছাতে এপারেল সামিটে ৯টি সেশন আয়োজন করা হয়। ৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ে যাওয়ার পথে প্রতিবন্ধকতা ও চ্যালেঞ্জগুলো কি কি এবং এগুলো কিভাবে সমাধান করা যেতে পারে তা এই সেশনগুলো থেকে বেরিয়ে এসেছে বলে জানান তিনি।
সেশনগুলোর ফলাফল ও সুপারিশমালা তুলে ধরে তিনি বলেন, ৫০ বিলিয়ন ডলারের টার্গেটে যেতে হলে অবকাঠামো, শক্তিসম্পদ ও শিক্ষা খাতে আরও উন্নয়ন সাধন করতে হবে। ব্যংক সুদের হার কমাতে হবে। দক্ষতা উন্নয়ন নিয়ে কাজ করতে হবে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হবে। অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য এই মুহূর্তে বাংলাদেশের ৭৪ বিলিয়ন থেকে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন। যে কোন মূল্যে শিল্পে অব্যাহত গ্যাস ও বিদুৎ সরবারাহ নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ অর্থনৈতিক জোন গড়ে তুলতে হবে।