পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে প্যারিস। প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ চেয়ে রাস্তায় নেমেছে দেশটির জনগণ।
শনিবার সেই আন্দোলনে বাধা দেয় পুলিশ। এতে সংঘর্ষ বেধে যায়। মুহূর্তেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস। খবর সানডে এক্সপ্রেস’র।
শনিবার প্যারিসে পথে নামেন অন্তত ৩০ হাজার বিক্ষোভকারী। এসময় বিক্ষোভকারীদের দমাতে টিয়ারসেল ও জলকামান ব্যবহার করা হয়। এসময় অন্তত ১৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও বিক্ষোভকারীদের দাবি, তারা শান্তিপূর্ণ ভাবেই মিছিল করছিলেন। এদিকে এর এক সপ্তাহ আগে দেশজুড়ে অন্তত ৩ লাখ মানুষ রাস্তা অবরোধ করেছিলেন।
মূলত স্যোশাল মিডিয়ার ডাকে এই আন্দোলনের সূত্রপাত। আপাতভাবে কোনো নেতা নেই এই আন্দোলনের। এদিকে এই বিক্ষোভকে ম্যাক্রোঁ সরকারের মন্ত্রী-কর্তাদের একাংশ দায়ী করছে বিরোধী দলনেত্রী মারিঁ ল্য পেনকে। অভিযোগ, তার ন্যাশনাল র্যালি পার্টিই খেপিয়ে তুলেছে মানুষকে।
কিন্তু কেন এই আন্দোলন?
গত এক বছরে বেড়েছে পেট্রল-ডিজেলের দাম। গত বছরের তুলনায় যা প্রায় ২৩ শতাংশ বেশি! ২০০০-এর পর থেকে ফ্রান্সে জ্বালানির দাম এতটা বাড়ার নজির নেই। গত সপ্তাহ থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ধিকিধিকি জ্বলছিল ক্ষোভের আগুন। প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর বক্তব্য, বিশ্ব বাজারে তেলের দাম চড়েছে। তাই দাম বেড়েছে দেশে। ১ জানুয়ারি থেকে আরো বাড়বে।
কিন্তু বাস্তবে গত কয়েক দিনে বিশ্ব বাজারে তেলের দাম কমলেও ফ্রান্সে কমেনি। এটা ক্ষোভের আঁচ বাড়িয়েছে আরো।