ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের মদনপুরে মোন্তাহার স্টিল মিলের দগ্ধ ১৩ জনের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা হলেন মাসুম মিয়া ও নয়ন মিয়া। নিহত দুজনেরই শরীর ৯০ শতাংশ পোড়া ছিল। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটায় মাসুম ও রাত সাড়ে তিনটা দিকে নয়ন মারা যান। ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আবদুল খান এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দুটি মর্গে রাখা হয়েছে।
নিহত মাসুম বগুড়া সোনাতলা উপজেলার রানীপাড়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে। তাঁর মামা শাহ আলম জানান, তিনি ওই কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। নিহত নয়ন মুন্সিগঞ্জের আবদুর রশিদ ঢালির ছেলে। তাঁর সহকর্মী মো. রাজু জানান, তিনি ওই কারখানার শ্রমিক ছিলেন।
নারায়ণগঞ্জ মোন্তাহার স্টিল মিলের দগ্ধ ব্যক্তির সংখ্যা ছিল ১৩। এঁদের মধ্যে মাসুম ও নয়নের মৃত্যু হলো। বাকি দগ্ধ শ্রমিকেরা চিকিৎসাধীন।
গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নারায়ণগঞ্জের মদনপুরে মোন্তাহার স্টিল মিলে রড তৈরির জন্য লোহা গলানোর সময় গলিত লোহা গায়ে পড়ে ১৩ শ্রমিক দগ্ধ হন।
দগ্ধ অন্য ব্যক্তিরা হলেন শ্রমিক রূপক (২০), সুজন (২৮), রানা (২২), আরিফ (২২), সজীব (২৫), গোপাল মণ্ডল (২৬), সালাউদ্দিন (২৫), কবির (৩৫), জাফর (২৫), মানিক (২৬) ও শাকিল (২৫)।
মোন্তাহার স্টিলের জেনারেল হেলপার আবু রায়হান বলেন, মদনপুর এলাকায় মিলটি অবস্থিত। সকালে রড তৈরির জন্য মালামাল গলানোর কাজ করছিলেন শ্রমিকেরা। এ সময় গলিত লোহা গায়ে পড়ে ওই ১৩ শ্রমিক দগ্ধ হন। তাঁদের উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।