ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের ব্র্রিফিংয়ে সংবাদকর্মীদের ডেকে এনে পরে বের করে দিলো নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ সময় সংবাদকর্মীদের সঙ্গে খারাপ আচরণও করা হয়।
আজ শনিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে এই ঘটনা ঘটে।
এর আগে ইসির জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক মো. আশাদুল হক গতকাল শুক্রবার সাংবাদিকদের এই অনুষ্ঠানে থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানান। আমন্ত্রণ অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে সাংবাদিকরা উপস্থিত হন। কিন্তু পরে তাদের বের করে দিয়েই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের ব্রিফ করা হয়।
ব্রিফিং শেষে সিইসি কে এম নূরুল হুদা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। এ সময় এক সাংবাদিক সিইসিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এভাবে বের করে দেয়ায় আমরা কষ্ট পেয়েছি। জবাবে সিইসি বলেন, আগামীকাল থেকে থাকতে দেবো।
আজ সকাল ১০টার দিকে নির্বাচন ভবনের ব্যাজমেন্ট-২’তে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশ্যে নির্বাচন আচরণবিধিমালা সংক্রান্ত ব্রিফিং শুরু হয়।
ব্রিফিংয়ে ইটিআই মহাপরিচালক বক্তব্য দেয়ার পরে সাংবাদিকদের বের হয়ে যেতে বলে ইসি।
তখন সাংবাদিকরা বারবার জানান, তারা সিইসির বক্তব্য শুনে চলে আসবেন। তা না হলে সংবাদ তৈরি করা যাবে না। কিন্তু ইসি কোনো কথা না শুনে সাংবাদিকদের বেরিয়ে যেতে বলে। সংবাদকর্মীরা বের হতে না চাইলে ইসির পক্ষ থেকে জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান রূঢ় আচরণ করেন এবং এরপর বেরিয়ে আসেন সংবাদকর্মীরা।
সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা, কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেছুর রহমান ও নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (ইটিআই) মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুক। এ ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, নারায়নগঞ্জ, গাজিপুর, কিশোরগঞ্জ, শেরপুরসহ কয়েকটি জেলার ২২৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
এর আগে রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, স্থানীয় পর্যবেক্ষক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ সভাসহ সংবাদকর্মীদের ভিডিও ফুটেজ ধারণ, ছবি নেওয়া, সিইসি, কমিশনার বা সচিবের বক্তব্য ধারণ করতে পারতেন সংবাদকর্মীরা। তবে আজ প্রথমবারের মতো রীতি ভেঙে অনুষ্ঠানের শুরুতেই সাংবাদিকদের বের করে দেওয়া হলো।