আসন্ন নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নের জন্য ঢাকায় এসে চার দিন আগে পল্টন থেকে নিখোঁজ যশোরের বিএনপি নেতা আবু বকর আবুর লাশ মিলেছে বুড়িগঙ্গায়। এ ঘটনায় পুলিশকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। অন্যদিকে নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে অটল ইসি। অল্প পরিসরে হলেও ইভিএম ব্যবহার হবে বলে তিনি জানান।
আজ শুক্রবার একাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত অনুষ্ঠান উদ্বোধন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
বিএনপির সেই নেতা পুলিশ হেফাজতে ছিলেন, তাকে আটক করা হয়েছিল- এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তিনি পুলিশ হেফাজতে ছিলেন? আমরা পুলিশকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেব। যাতে তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের আইনের আওতায় আনা হয়।’
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কত কেন্দ্রে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার হবে সে বিষয়ে দু’একদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ইভিএম একটি নতুন উদ্যোগ। ব্যালটে ভোট দেয়ার যে ঝামেলা সেটি দূর করতে হবে। ইভিএমের মাধ্যমে সেটা করতে পারে। ইতোপূর্বে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এটি ব্যবহার করা হয়েছে। সংসদ নিবাচনে ইভিএম ব্যবহারে কোনো আাইনগত বাধা নেই। সেটা আমরা ব্যবহার করব। দু’একদিনের মধ্যে কতটি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হবে তা নির্ধারণ করা হবে।
নুরুল হুদা বলেন, ‘যেখানে ইভিএম ব্যবহার হবে, সেখানে কয়েকদিন আগে মানুষকে বুঝাতে হবে। যাতে কোনো সমস্যা না থাকে। ভোটারদের বুঝাতে হবে। বিভিন্ন দল ইভিএমের বিরোধিতা করে, তারা এটি এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখুক। তাদের লোক দিয়ে ইভিএমের টেকনিক্যাল বিষয় পরীক্ষা করুক। তাহলে তাদের সংশয় কেটে যাবে।’
প্রশিক্ষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে আমাদের ব্যাপক প্রস্তুতি। দিনটি এতোই গুরুত্বপূর্ণ দিন, যে দিনে জনগণ তাদের প্রতিনিধিকে নির্বাচন করবে। দিনটি তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক দলসহ সকলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন।’
তিনি বলেন, ‘নিরপেক্ষতা, কারিগরি দক্ষতা, নির্বাচন পরিচালনায় আইন, বিধি-বিধান জানা দরকার। আপনারা নির্বাচন কিভাবে পরিচালনা করবেন সেটা জানলেও, সহকারি প্রিজাইডিং অফিসারদের জানার কথা নয়। বার বার বিভিন্ন পর্যায়ে এই ট্রেনিং দেয়া হয়ছে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আপনারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আপনারা তাদের সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ দেবেন।’
প্রশিক্ষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণ দেয়ার সময় সতর্ক থাকতে হবে। কারণ তারা রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি। তারা থাকেন মাঠে, তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। অনেক সময় তীর্যক কথা বলতে পার, কিন্তু সেটা ভিন্ন ভাবে নেয়া যাবে না। তারা প্রশ্ন করবে, জানতে চাইবে সেটি তাদের বুঝাবেন।’
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যারা আছেন তাদের সমস্যাগুলো বুঝতে হবে। তাদের সমস্যাগুলো দেখতে হবে। আগে এটি ছিল না এখন সেটা করতে হবে। তাদের প্রশ্ন শুনে ধৈর্য ধরে উত্তর দিতে হবে।’