এ বছরও গত বছরের ন্যায় হাজারো কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করবে দেশের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ। ঠিক একই সময়ে বিশ্বব্যাপী সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হবে। রেসকোর্স ময়দান (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিকেল ৪টা ৩১ মিনিটে যৌথবাহিনীর কাছে পাকহানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল। সেই ঐতিহাসিক স্থানে একই সময়ে এই আয়োজনকে স্মরণ এবং সম্মান জানাতেই করতেই এই উদ্যোগ।
জানা যায়, এখন থেকে প্রতি বছর নিয়মিত এই আয়োজন করা হবে।
শাহবাগস্থ জাতীয় জাদুঘরের সামনে শনিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান বিজয় দিবস উদযাপন জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল বারাকাত।
এ সময় ‘দিবস উদযাপন জাতীয় কমিটি’ বিজয় দিবস উপলক্ষে দিনব্যাপী যে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে তা ঘোষণা করেন তিনি।
জানা যায় গত বছরের ন্যায় এ বছরও বিজয় দিবস উদযাপন করতে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। এরপর ১২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ‘আমাদের সংস্কৃতি’। ৪টা ৩১ মিনিটে সারা বিশ্বব্যাপী সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং ৪টা ৪৫ মিনিটে শপথ পাঠ করা হবে। শপথ পাঠ করাবেন আব্দুল গফফার চৌধুরী। ৪টা ৪৭ মিনিট থেকে সোয়া ৫টা পর্যন্ত স্বাধীন বাংলা বেতারের শিল্পীদের কণ্ঠে মুক্তিযুদ্ধের গান পরিবেশিত হবে। ৫টা ২০ মিনিটে বিজয় আতশবাজি এবং সবশেষে ৫টা ৪০ মিনিটে হবে ‘কনর্সাট ফর ফ্রিডম’।