ঢাকা: সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পেলে বাংলাদেশ থেকে ‘পরিবেশগত শরণার্থী’রা ছুটে যেতে পারেন ভারতের মেঘালয়ের দিকে। এ সতর্কতা উচ্চারণ করেছে খাসি হিলস অটোনোমাস ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল।
বুধবার এক অনুষ্ঠানে এমন হুঁশিয়ারি দেয়া হয়। তাই আগেভাগেই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের মাধ্যমে জাতিসংঘের প্রতি আবেদন করতে মেঘালয় রাজ্য সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে লিখিত আবেদন করবে খাসি হিলস অটোনোমাস ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল। তাতে বলা হবে, ‘পরিবেশগত শরণার্থীদের’ আশ্রয় ও গ্রহণ করার ক্ষেত্রে মেঘালয়কে বাইরে রাখতে হবে। এ খবর দিয়েছে ভারতের অনলাইন দ্য টেলিগ্রাফ।
এতে বলা হয়, খাসি হিলস অটোনোমাস ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল তাদের তিন দিনের শীতকালীন অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে বুধবার বাংলাদেশ ইস্যুতে ওই দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে। এতে কাউন্সিলের প্রধান নির্বাহী সদস্য এইচ এস শায়লা বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে ‘পরিবেশগত শরণার্থী’র ঝুঁকি রয়েছে।
এসব শরণার্থী মেঘালয়ে আশ্রয় চাইতে পারে।
বাংলাদেশের সঙ্গে মেঘালয়ের ৪৪৩ কিলোমিটার পাহাড়ি সীমান্ত আছে। মেঘালয়ে বসবাস করেন ৩০ লাখের কিছু বেশি মানুষ। বুধবার খাসি হিলস অটোনোমাস ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিলের সদস্য গ্রেস এম খারপুরির এক প্রশ্নের উত্তরে এইচ এস শায়লা বলেন, এরই মধ্যে এ সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, বাস্তুচ্যুত হওয়ার পর মেঘালয় সহ ভারতে প্রবেশ করেছেন ৫০ লাখ বাংলাদেশী। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির বিরূপ প্রভাবে পানিতে ডুবে যাচ্ছে বাংলাদেশের উপকূলভাগ। দেশটির শতকরা ৮০ ভাগ এলাকা বন্যাপ্রবণ হয়ে উঠেছে। এভাবে পানিতে দেশটি ডুবে যাওয়া মেঘালয়ের আদি বসতি স্থাপনকারী মানুষদের জন্য একটি বিপদের কারণ হতে পারে। কারণ, পরিবেশগত শরণার্থীরা আমাদের দেশে প্রবেশের চেষ্টা করছে।
পরিষদকে জাতিসংঘের রাইটস অব ইনডিজিনাস পিপলস,২০০৭ এর ঘোষণার কথা স্মরণ করিয়ে দেন। এই ঘোষণার পক্ষে ভোট দিয়েছিল ভারত। তিনি বলেন, আমরা আদি অধিবাসী হিসেবে জাতিসংঘের ওই ঘোষণার অধীনে আমাদেরকে সুরক্ষা দেয়ার অধিকার আমাদের আছে। তাই আমরা রাজ্য সরকারের কাছে লিখিতভাবে বিষয়টি জানাবো। তারা যেন এ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথা বলেন। আর কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত হবে জাতিসংঘের কাছে অনুরোধ করা, যাতে বলা হবে শরণার্থীদের গ্রহণের ক্ষেত্রে মেঘালয়কে বাইরে রাখতে হবে। তিনি বলেন, যদি বাংলাদেশ থেকে মাত্র ৩০ লাখ মানুষ আমাদের ভূমিতে প্রবেশ করে তাহলে এখানকার আদি বাসীরা তাদেরকে সামলে নিতে পারবে না।