শিবগঞ্জে বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের ৪৩তম শাহাদৎ বার্ষিকী আজ রবিবার পালন করা হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জকে শত্রুমুক্ত করতে গিয়ে ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্থান হানাদার বাহিনীর সাথে যুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান এই ক্যাপ্টেন।
জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের আয়োজনে আজ রবিবার সকালে শিবগঞ্জ উপজেলার সোনামসজিদ প্রাঙ্গনে বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীরের সমাধিতে পুস্পার্ঘ্য অর্পন, দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা ও গণকবরে পুস্পার্ঘ্য অর্পনের মধ্যে দিয়ে তার ৪৩তম শাহাদৎ বার্ষিকী পালিত হয়। এসব অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবির, পুলিশ সুপার বশির আহমদ, জেলা পরিষদের প্রশাসক মঈনুদ্দিন মন্ডল ও মুক্তিযোদ্ধাসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৪ ডিসেম্বর ভোররাতে ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীর তার বিশাল বাহিনীকে তিন ভাগে ভাগ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর দখলের জন্য আক্রমণ শুরু করেন। তিনি মহানন্দা নদী পার হয়ে রেহাইচর গ্রামে অবস্থান গ্রহণ করে শত্রুদের লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করতে করতে সামনের দিকে এগুতে থাকেন। রাতের আধার পুরোপুরি কেটে যাওয়ার আগেই পাক বাহিনীর একটি বুলেট ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীরের কপালে বিদ্ধ হলে ১৪ ডিসেম্বর তিনি রেহাইচরে শহীদ হন। পরে মুক্তিযোদ্ধারা শহীদ ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীরের লাশ উদ্ধার করেন। পরদিন ১৫ ডিসেম্বর হাজারো মুক্তিযোদ্ধার ভালবাসা ও শ্রদ্ধায় মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীরকে তার অন্তীম ইচ্ছা অনুযায়ী চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঐতিহাসিক ছোট সোনামসজিদ প্রাঙ্গনে সমাহিত করা হয়। পরে তার বীরত্বগাঁথার জন্য সরকার তাকে বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবে সম্মানিত করে।