সরকারি ছুটির দিনে বরিশালের আয়কর মেলায় উৎসুক করদাতাদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। শুক্রবার ছুটির দিনে মেলায় সরকারি চাকরিজীবীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
এছাড়া বেসরকারি চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ীরাও কর মেলায় এসে কর প্রদানের নানা বিষয় সম্পর্কে ধারণা নিচ্ছেন।
কেউ দিয়েছেন রিটার্ন জমা, কেউ দিয়েছেন আয়কর, কেউ নিয়েছেন ট্যাক্স সার্টিফিকেট (টিন)। কারও চাপে নয়, দেশের স্বার্থেই আয়কর দেওয়ার কথা বলেছেন তারা। উৎসুক করদাতাদের সার্বিক সহায়তা দিচ্ছেন সেবা প্রদানকারীরা।
তবে মেলার স্বল্প পরিসর নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে সেবা গ্রহণকারীদের। অনেকে আবার মেলার সময় বাড়ানোর দাবিও তুলেছেন।
এদিকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্ধারিত সময়ে এবং ভেন্যুতে মেলা আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল কর অঞ্চলের যুগ্ম কমিশনার আবুল হোসেন। করদাতারা যাতে উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে কর দিতে পারেন, সেজন্য মেলার পরেও কর সার্কেল অফিসগুলোতে করদাতাদের জন্য সেবা চালু থাকবে বলে তিনি জানান।
এবার বরিশাল কর অঞ্চলের আওতাধীন ১১টি ভেন্যুতে কর মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
গত ৩দিনে ৪০ হাজার করদাতা সেবা গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে ৪ হাজার ৯০০ জন আয়কর রিটার্ন জমা দিয়েছেন। চারশ’র অধিক নতুন করদাতা টিন গ্রহণ করেছেন। গত ৩ দিনে কর আদায় হয়েছে ২ কোটি ১০ লাখ টাকা।
গত মঙ্গলবার সকালে বরিশাল নগরীর সদর রোডের অশ্বিনী কুমার হলে ৭ দিনব্যাপী আয়কর মেলার উদ্বোধন করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য আরিফা শাহানা।
আগামী ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কর মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিস্টরা।