হাসানুজ্জামান হাসান,লালমনিরহাট: শরিফুল মিয়া লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের পাঁচমাথা গ্রামের ৫নং ওয়াডের কৃষক অাজিজুল ইসলামের ছেলে।বাবার কোন অায়ের পথ নেই পরিবারের জন্য শরিফুলের মাছের প্রজেক্ট’ই একমাত্র ভরসা। মৎস্য চাষি শরিফুলের পরিবারের জন্য বরগা নেয়া মাছের প্রজেক্ট টি বিশেষ ভূমিকা রাখে।
বরগা নিয়ে ৩৪ শতাংশ জমিতে প্রজেক্ট তৈরি করেছেন তিনি। মাছ বিক্রি করে সংসার ভালোই চলছে তার।
একসময় বাদাম, শুটকি বিক্রি করতেন শরিফুল।তার পর তিনি ঢাকায় ৬ বৎসর রিক্সা চালিয়ে অন্যের বাড়িতে কাজ করে কিছু টাকা উপার্জন করে মাছ চাষ করতে শুরু করেন! প্রথমে কিছু ক্ষতির সম্মুখীন হন তিনি। তার পরেও দমে যান’নি মাছ চাষী শরিফুল মিয়া।
শুরুতে৫/৭জন মিলে মাছের চাষ প্রকল্পে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। ক্ষতির সম্মুখীন হবার পর থেকে শরিফুল নিজেই কাজ করে যাচ্ছেন প্রজেক্টে।তার প্রজেক্টে দেশি বিদেশি কয়েক প্রজাতির মাছ আছে, মাসে ২৩ হাজার টাকার মাছ বিক্রি করে তার আয় হয় ১১/১২ হাজার টাকা ।
শরিফুল ইসলাম জানান,সরকারী ভাবে কোন সহায়তা পাইনি,নিজের ইচ্ছায় মাছ চাষ করতেছি।আগে পরের বাড়িতে কাজ করে উপার্জিত টাকা দিয়ে সংসার চালাতাম,অনেকটা অভাব ছিলো পরিবারে ঠিক মতো ভরন পোষন যোগাতে পারি নাই এখন মাছ চাষ করে ভালোই চলছি পরিবার পরিজন নিয়ে।
শরিফুল মিয়ার মাসে ১১হাজার টাকা খরচ হয় মাছের খাবার বাবদ,মাছের জন্য প্রতিদিন ৩কেজি খৈল,২কেজি ফিট,৩কেজি ভূসি কিছু সংখ্যক হাড়ের গুড়া দিয়ে থাকে।পানি পরিষ্কারের জন্য চুন প্রয়োগ করে! মাছ যাতে দ্রুত বিদ্ধি পায় সে জন্য ইউরিয়া সার প্রয়োগ করে। তার বাৎসরিক আয় একলক্ষ বিশ হাজার টাকা। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত মাছের প্রজেক্টে সময় দেন পরিচর্যা করেন শরিফুল।তিনি বলেন অামার প্রজেক্টের মাছ বিভিন্ন হাটে বাজারে বিক্রি করে জেলেরা এবং আমি অবসর সময়ে মাছ নিয়ে বাজারে গিয়ে বিক্রি করি।
শরিফুল মিয়ার স্ত্রী মোছাঃমোছলেমা খাতুন আগ্রযাত্রা নিউজের লালমনিরহাট প্রতিনিধি’কে বলেন এখন আমরা ভালোয় চলছি কিছুটা স্বচ্ছলতা ফিরেছে পরিবারে,আগে আমাদের দুইটি ঘড় ছিলো এখন আর আগের মতো কষ্ট করে জীবিকা নির্বাহ করতে হয় না,বাৎসরিক জেটা আয় করে আমার স্বামী তা দিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে ভালোই চলছি।
শরিফুল মিয়া মাছ চাষ প্রকল্প শুরুর প্রথমে এক লক্ষ”১৫হাজার টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হন!তবুও তিনি মাছ চাষ প্রকল্প বাদ দেননি,তিনি বলেন ক্ষতির শিকার হয়েও আমার মনোবল ছিলো পরবর্তীতে আমাকে আয় করতে হবে।আমি কোন কৃষি সহায়তা পরামর্শ নিতে পারিনাই।অনেকে মৎস অধিদপ্তর থেকে সহায়তা নিয়ে থাকে। আমাকে কোন কৃষি সহায়তা অথবা কৃষি ঋণ দেয়া হয়নি এগুলো সহযোগিতা পেলে আমি আরো ভালো কিছু করতে পারবো।