কলা আমাদের কাছে খুবই পরিচিত এবং সেই সাথে সহজলোভ্য একটি ফল। কলা খেতে সবাই পছন্দ করে।
কলা খেতে পছন্দ করেন না এমন ব্যক্তি হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। কলা যেমন সুস্বাদু তেমনই পুষ্টিগুনেও ভরপুর। তবে কলার একটি আলাদা বৈশিষ্ট্য আছে। আর তা হল ফল হিসেবে যেমন এর কদর আছে, তেমনি সবজি হিসেবেও এর কদর কিন্তু কম নয়।
মূলত পাকা কলা খাওয়া হয় ফল হিসেবে। কাঁচা কলা সবজি হিসেবেই পরিচিত। আজ আমরা কাঁচা কলার নানারকম বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। কাঁচা কলা ভিটামিন, মিনারেলসহ আরও অনেক পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণ একটি সবজি। উচ্চ ভিটামিন বি-৬ এর ভালো উৎস কাঁচা কলা।
ভিটামিন বি-৬ রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরি করে, যা রক্তে অক্সিজেন পরিবহন করে। এর মধ্যে থাকা ভিটামিন বি-৪ রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও যদি আপনি আপনার বাড়তি ওজন কমাতে চান তবে রোগীর পথ্য হিসেবে পরিচিত স্বাস্থ্যকর এই সবজিটি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন। আসুন জেনে নেই কাঁচা কলার আরও কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা-
* হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে
পাকা কলার মত কাঁচ কলাতেও প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে। বিভিন্ন গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, প্রতিদিন ৪,৭০০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম গ্রহণে হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস হয়। তবে পটাসিয়াম সবার জন্য নিরাপদ নয়। উচ্চ রক্তচাপ অথবা কিডনির রোগে আক্রান্ত রোগীদের পক্ষে তাই কাঁচ কলা খাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ থাকা উচিত।
* ওজন কমায়
ওজন কমাতে চাইলে, খাদ্য তালিকায় রাখুন কাঁচ কলা। কাঁচ কলার ফাইবার অনেকটা সময় পেট ভরিয়ে রাখে। এটি আঁশযুক্ত হওয়ায় তা মেদ কমাতেও সাহায্য করে।
* রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের জন্যেও কাঁচ কলা উপকারী। এটি আঁশযুক্ত হওয়ায় রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। ভিটামিন বি৬ গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করে টাইপ-টু ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
* পেটের খারাপ ব্যাকটেরিয়া দূর করে
কাঁচ কলা আঁশযুক্ত সবজি হওয়ায় এটি খুব সহজে হজম হয়। কাঁচ কলা পেটের ভিতরের খারাপ ব্যাকটেরিয়া দূর করে দেয়। তবে অতিরিক্ত পেট ফোলার সমস্যা থাকলে কাঁচ কলা না খাওয়াই ভালো। কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যাও অনেক সময়ে বাড়িয়ে দেয়।
* ডায়রিয়ায় কাঁচা কলা
কাঁচা কলায় থাকে এনজাইম, যা ডায়রিয়া এবং পেটের নানা ইনফেকশন দূর করে। তাই ডায়রিয়া হলে চিকিৎসকেরা কাঁচ কলা খাওয়ার পরামর্শ দেন।