একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের তারিখ নির্ধারণে বৈঠকে বসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ সোয়া ১১টার দিকে নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব ও সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।
তারিখ নির্ধারণের পর সন্ধ্যায় ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণে সিইসি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন। বৈঠকে নির্বাচনের উপকরণ সরবরাহ, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, ভোটকেন্দ্র ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগে সিদ্ধান্ত হবে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সব প্রস্তুতিও শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। আনুষ্ঠানিকভাবে আজ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। নির্বাচনের বিস্তারিত সময়সূচি জানাতে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। সন্ধ্যা ৭টায় তার ওই ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে একযোগে সম্প্রচার করা হবে বলে নির্বাচন কমিশনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এদিকে, একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বাড়তি র্যাব-পুলিশ ও সাঁজোয়া যানসহ শেরেবাংলা নগরে ইসি এবং বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রের আশপাশে মোতায়েনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইসির প্রধান ফটকে পুলিশি পাহারার পাশাপাশি বসানো হয়েছে আর্চওয়ে। এদিন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশের পক্ষে ব্যাপক কৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে।
তফসিল ও জাতীয় নির্বাচনের আগে রুটিন কাজের অংশ হিসেবে সার্বিক নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তফসিল ঘোষণা নিয়ে সার্বিক পরিস্থিতি, বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ, মাঠের গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ এবং নাশকতার আশঙ্কা উড়িয়ে না দিয়ে তা বিবেচনায় রেখেই আগের চেয়ে সব গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়।