ঢাকা:আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের গণভবনে সংলাপ হচ্ছে। আর গণভবনের বাইরে ঐক্য প্রক্রিয়ার কর্মী-সমর্থকেরা দাবি আদায়ের জন্য স্লোগান সংবলিত প্ল্যাকার্ড-ফেস্টুন নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর গণভবন এলাকায় কারও কারও হাতে মোমবাতি ও ব্যানার দেখা যায়।
‘সংবিধান ওহি নয়, জনগণের জন্যই সংবিধান’, ‘জনগণ ভোট দিতে চায়, ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে ফলপ্রসূ সংলাপ চাই’, ‘সংবিধান জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বাধা নয়’ ইত্যাদি স্লোগান সংবলিত প্ল্যাকার্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন দেখা যায়।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোটের ২৩ নেতার সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ২১ নেতা। ১৪ দলীয় নেতৃত্বে আছেন শেখ হাসিনা আর ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ড. কামাল হোসেন। তাঁর সঙ্গে আছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সন্ধ্যা ৭টায় এই সংলাপ শুরু হয়।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ড. কামাল হোসেনের বেইলি রোডের বাসা থেকে ঐক্যফ্রন্টের ২১ সদস্যের প্রতিনিধি দল গণভবনের উদ্দেশে রওনা করেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে চলমান বিরোধের কারণে এই সংলাপের দিকেই আজ তাকিয়ে রয়েছে দেশের মানুষ। সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে যে অনিশ্চয়তা, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থাহীনতা তা সংলাপের মাধ্যমে নিরসন হবে।
ঐক্যফ্রন্ট প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সংলাপে বসার আগ্রহের কথা জানিয়ে চিঠি দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী তাদের নৈশভোজের আমন্ত্রণ জানান। সেই আমন্ত্রণে ঐক্যফ্রন্ট গণভবনে সংলাপে গেলেও নৈশভোজে অংশ নেবে না বলে জানিয়েছে।
গণফোরাম, বিএনপি, জাসদ (জেএসডি) ও নাগরিক ঐক্য নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়। গঠনের পরই ৭ দফা দাবি মানতে আন্দোলনে নামে তারা। তবে সংলাপের কারণে সেই আন্দোলনে কিছুটা ভাটা পড়েছে। ইতিমধ্যে ঐক্যফ্রন্ট সিলেট ও চট্টগ্রামে সমাবেশ করেছে। কাল তাদের ঢাকায় সমাবেশ করার কথা আছে। এ ছাড়া ৬ নভেম্বর রাজশাহীতে সমাবেশ করার কথা রয়েছে।