চট্টগ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে বিভাগীয় মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ। এ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা ছাড়াও নগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ শীর্ষ নেতারা।
এ সমাবেশে সরকারের উন্নয়ন, সফলতা, নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়ার আহবানও জানান বক্তারা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর একটি কনভেনশন সেন্টারে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান ও সাবেক সচিব মো. রশিদুল আলম।
সমাবেশে প্রধান অতিথি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের উন্নয়নে সরকার ২১ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু শহর এলাকায় নয়, আবাসন সমস্যা সমাধানে গ্রামেও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ফ্ল্যাট তৈরি করছেন। মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল হওয়ায় মন খারাপের কিছু নেই। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বিশেষ ব্যবস্থায় যেভাবে মুক্তিয্দ্ধোার সন্তানদের চাকরি দেওয়া হয়েছে, এবারও ঠিক একইভাবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা চাকরি পাবেন। তিনি আরো বলেন, সর্বোচ্চ এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন হবে। নির্বাচনে ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে। এ জন্য আপনারা নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করুন।
মনের মধ্যে কোনো বিভেদ রাখবেন না।
সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, কোটা মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের অধিকার। এ অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখার দাবি জানাচ্ছি।
সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য কেএম ফরহাদ হোসেন, সদস্য আব্দুল হক, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহমদ প্রমুখ।