জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত নীতিমালা লঙ্ঘন করে নাটোরের বাগাতিপাড়ায় কেন্দ্র সচিব নির্বাচনের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে কেন্দ্র কমিটির চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন বানুকে পাওয়া যায়নি।
জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত নীতিমালা (পরীক্ষা পরিচালনার নিয়মাবলি: ২.৪.৩) অনুযায়ী “বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত পরীক্ষা কেন্দ্রের কেন্দ্র প্রতিষ্ঠান প্রধান কেন্দ্র সচিব হবেন। কোন কারণে কেন্দ্র প্রতিষ্ঠানের প্রধান কেন্দ্র সচিব হতে না পারলে কেন্দ্র কিমিটির চেয়ারম্যান এর অনুমোদনক্রমে কেন্দ্রের আওতাধীন অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের মধ্যে থেকে দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রধান শিক্ষক কেন্দ্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তবে কোন শিক্ষক অথবা কোন কর্মকর্তার ছেলে/মেয়ে সংশ্লিষ্ট বোর্ডের কোন কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করলে তিনি কেন্দ্র সচিব হতে পারবেন না। ”
বাগাতিপাড়া পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালামকে কেন্দ্র সচিব নির্বাচন করায় শিক্ষকমহলে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। শিক্ষকরা দাবি করেছেন বিধি বহির্ভূতভাবে ওই প্রতিষ্ঠানে কেন্দ্র সচিব নির্বাচন করা হয়েছে। বিষয়টি জানতে কেন্দ্র কমিটির চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন বানুকে উপজেলা স্টেশানে পাওয়া যায়নি। এমনকি মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করলে ফোন রিসিভ না হওয়ায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
বাগাতিপাড়া পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খালিদ হোসেন লিটনকে কেন্দ্র সচিব করা হয় নি কেন? এমন প্রশ্নে তিনি দাবি করেন, ‘আদালতে আমার বিরুদ্ধে মামলা চলমান আছে কিন্তু এখনও রায় হয়নি। অথচও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় আমাকে কেন্দ্র সচিব নির্বাচন না করে যাকে কেন্দ্র সচিব করা হয়েছে তিনি একজন সহকারী প্রধান শিক্ষক।
অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভিজ্ঞ ও দক্ষ প্রধান শিক্ষক থাকালে তাদেরকে নির্বাচন না করে, যা করা হয়েছে তা বিধিবহির্ভূত। ’
বাগাতিপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারী সমিতি সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন ও ওই কেন্দ্রে অংশ গ্রহণকারী চকগোয়াস বেগুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘কেন্দ্র সচিব নির্বাচন সংক্রান্ত স্পষ্ট বিধি রয়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ বাগাতিপাড়া পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালামকে কেন্দ্র সচিব নির্বাচন করা হয়েছে। যা বিধি লঙ্ঘনের সামিল।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ড. রাজ্জাকুল ইসলাম বলেন, ‘ বিষয়টি আমি ইউএনও এর কাছ থেকে শুনে আপনাকে বলি। কিন্তু পরে তিনি ব্যস্ত আছি। সব বিষয়ে আমি মতমত দিতে পারি না। জেলা প্রশাসক স্যার সার্বিক বিষয়ে কথা বলতে পারেন। আপনি জেলা প্রশাসক স্যারের সাথে কথা বলেন। ’