১৯৭৬ সালে অ্যাপলের সহ প্রতিষ্ঠাতা রন ওয়েন প্রতিষ্ঠানে তাঁর মালিকানা ১০ শতাংশ বিক্রি করে দেন ৮০০ ডলারে। বলেছিলেন, এ নিয়ে তার কোনো অনুশোচনা নেই। তবে ব্লুমবার্গ টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, এ অর্থ দিয়ে তিনি স্বর্ণ কিনবেন।
ওয়েন এই স্বর্ণকে ‘ভবিষ্যতের নিরাপত্তা উল্লেখ করে গতকাল জানান, বিগত ৪০ বছর ধরে আমার যাবতীয় সঞ্চয় স্বর্ণ করে রাখা হয়েছে।
অ্যাপলের শেয়ার বেঁচে দিয়ে তিনি স্বর্ণ কিনেছিলেন। আর সেই স্বর্ণ অ্যাপলের পাবলিক কম্পানি হওয়ার পর কেমন প্রভাব ফেলেছে তা দেখে নিন।
১৯৮০ সালে অ্যাপল কম্পিউটার পাবলিক প্রতিষ্ঠান হয়। যদি ওয়েন তাঁর ৮০০ ডলার ১৯৮০ সালে ব্যয় করতেন স্বর্ণের পেছনে, তবে তার মূল্য হতো এক হাজার ৭৫০ ডলার। আর যদি অ্যাপলের স্টক রেখে দিতেন তিনি, তবে আজ বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার থাকতো তার। স্বর্ণের দাম বেশি বাড়েনি। কিন্তু অ্যাপলের শেয়ারের মূল্য বেড়েছে বহুগুণ।
যে কারণে অ্যাপলের মালিকানা ছেড়ে স্বর্ণ কিনেছিলেন ওয়েন
আটারিতে কাজ করার সময় স্টিভ জবসের সঙ্গে দেখা হয় ওয়েনের। সেখানে ওয়েন গেম সিস্টেম এর জন্য বুকলেট নির্দেশনা তৈরি করতেন। ধীরে ধীরে সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওয়েন, স্টিভ এবং স্টিভ ওজনিয়াক এর মধ্যে। জবস এবং ওজনিয়াক দুজনই বয়সে ওয়েনের অর্ধেক ছিলেন। তারা নিজেদের গড়া প্রতিষ্ঠানে নিয়ে আসেন ওয়েনকে। এখানে ওয়েন অ্যাপল-১ মডেলের কম্পিউটারটি ডিজাইন করেন। তিনিই অ্যাপলের লোগো ডিজাইন করেন। বড় হিসেবে তিনিই অ্যাপলের কাজের তদারকি করতেন।
আজ ওয়েনে বয়স ৮০ বছর। তিনি অবসর নিয়েছেন এবং অবসরভাতা দিয়েই চলেন। বুমেরাং টিভিকে সম্প্রতি তিনি বলেন, অ্যাপল ছেড়ে দেওয়ার জন্যে যে সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছিলেন সে বিষয়ে তার কোনো অনুশোচনা নেই। তার ভাষায় জবস ও ওজনিয়াক দুজনই ‘ঘূর্ণিঝড়’। আমি একজন প্রোডাক্ট ডেভেলপার ইঞ্জিনিয়ার। আর আমি কোনো রুমে বসে বসে বছরের পর বছর এগুলো নিয়ে পড়ে থাকার কোনো ইচ্ছা ছিল না। প্রত্যেকেরই নিজস্ব আদর্শ ও ইচ্ছা রয়েছে, জানান ওয়েন।