গাজীপুর: গাজীপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে প্রতিটি পাসপোর্টের জন্য প্রায় দুই হাজার টাকাই দালালী দিতে হয়। দীর্ঘ সময় ধরে চলা এই দাালালী ব্যবসা এখন ওপেন হয়ে গেছে। সিক্রেটও নাই। আর এই অনিয়ম দেখারও কেউ নেই। যারা দেখভাল করবেন তাদের অনেকের বিরুদ্ধেই দালালী কাজকে সহযোগিতার অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগীরা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, একটি সাধারণ পাসপোর্ট করতে সরকারী চালান দিতে হয় ৩হাজার ৪৫০ টাকা। কিন্তু পাসপোর্ট অফিস বিভিন্নভাবে আদায় করছে ৫হাজার টাকা। সরকারী চালান দেয়ার পর সরাসরি পাসপোর্ট অফিস কর্তৃপক্ষ নিচ্ছেন এক হাজার টাকা আর দালালরা নিচ্ছেন বাকী টাকা।
জরুরী পাসপোর্টের ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত ফি ৬হাজার ৯’শ টাকা। পাসপোর্ট অফিস ও দালালরা নিচ্ছেন ৯ থেকে ১০হাজার টাকা। এ ক্ষেত্রে ভূক্তভোগীদের অতিরিক্ত দিতে হচ্ছে ২/৩ হাজার টাকা। এরপর পুলিশ ভেরিফিকেশনের ঝামেলা তো আছেই।
ভূক্তভোগীরা বলছেন, গাজীপুরের নতুন এসপি আসার পর কিছুদিন তেমনভাবে টাকা লাগেনি। এখন খুশি হয়ে দিতে হয়। এছাড়া ডেলিভারী শ্লিপের তারিখ অনুসারে পাসপোর্ট পাওয়া যায় না। সঠিক সময়ে পাসপোর্ট নিতে হলে দালালদের মাধ্যমে আরো টাকা দিতে হয়।
গোপন সূত্র বলছে, কতিপয় সাংবাদিক পরিচয়ধারী লোক পাসপোর্ট অফিসে নিয়মিত যাতায়াত করেন। তাদের মধ্যে অনেকেই মাসোহারাও পায় বলে সূত্রের দাবী।
এ বিষয়ে গাজীপুর পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালকের নির্ধারিত মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি।
ভুক্তভোগীদের দাবী, সরকার নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত টাকা আদায় বন্ধ করা উচিত। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আহবান করেছেন তারা।