রং তুলির আঁচড়ে বর্ণিল হয়ে উঠেছে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ।
বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে চলছে ধুয়ে-মুছে প্রস্তুত করার কাজ। ইতিমধ্যে ৫০ শতাংশ কাজ শেষ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ধোঁয়া-মোছা আর রং লাগানোর এ কাজে নিয়োজিত রয়েছেন গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের শতাধিক কর্মী। আগামী ১৫ ডিসেম্বর নাগাদ স্মতিসৌধকে পুরোপুরি প্রস্তুত করা সম্ভব হবে আশা করছে কর্তৃপক্ষ।
গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান রাইজিংবিডিকে জানিয়েছেন, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৩ দিন যাবৎ স্মৃতিসৌধে ধোঁয়া মোছা ও রং লাগানোর কাজ চলছে। ইতিমধ্যে আমরা ৫০ শতাংশ কাজ শেষ করতে পেরেছি। ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে স্মতিসৌধকে পুরোপুরি প্রস্তুত করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, স্মৃতিসৌধ এলাকায় নতুন নতুন ফুলের গাছ লাগানোর পাশাপাশি রং তুলি দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে সমস্ত স্থাপনা। অজ্ঞাত শহীদদের কবরস্থান এবং স্মৃতিসৌধের মূলবেদীতেও পড়েছে কয়েক দফা রং তুলির আঁচড়। অপ্রয়োজনীয় ঘাস ছেটে ফেলে বাড়ানো হচ্ছে গোটা স্মৃতিসৌধের সৌন্দর্য্য।
সৌন্দর্য্য বর্ধন এবং নিরাপত্তার কথা ভেবে ১৩ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্মৃতিসৌধে সাধারণ মানুষ প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।
স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানোর মহড়া চালিয়ে যাচ্ছে তিন বাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল। সকাল বিকেল দুই বেলায় হচ্ছে মোটর শোভাযাত্রা। চলছে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের অনুশীলন।
বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার সাভারে এই স্মৃতিসৌধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এরপর থেকেই মহান বিজয় দিবসের প্রত্যুষে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয় এখানে।
এবারো রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা এবং রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন সংগঠন বাঙালির বীর সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করার জন্য বিভিন্ন স্থান থেকে এখানে আসবেন অগণিত মানুষ। নীরবে দাঁড়িয়ে হৃদয় নিংড়ানো শ্রদ্ধা ভালোবাসা জানাবেন অগণিত শহীদদের প্রতি।